প্রতীকী ছবি।
পুরসভা নির্বাচনে ঘর গুছিয়ে নিতে জলপাইগুড়ির ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কমিটি তৈরি করেছে বিজেপি। কিন্তু, কমিটি তৈরি হলেও দলের নেতা-কর্মীদের প্রার্থী বাছাই করতে বেগ পেতে হচ্ছে বলে দলীয় সূত্রের খবর। লোকসভা নির্বাচনে জলপাইগুড়ি পুরসভার ২৫টি ওয়ার্ডে জয় পেলেও পুরসভা নির্বাচনে প্রার্থী পেতে কেন বেগ পেতে হচ্ছে, তা নিয়ে দলের অন্দরে রীতিমতো চর্চা চলছে বলে সূত্রের খবর। দলীয় সূত্রের খবর, ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের কাছে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে, এমন ব্যক্তিদের প্রার্থী হিসাবে মনোনীত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সঙ্ঘ সূত্রের খবর, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বিজেপির প্রার্থী ঠিক করে দিতে কাজ শুরু হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সঙ্ঘ সেবক বলেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচনে সঙ্ঘের তরফে সরাসরি বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে বাড়ি বাড়ি প্রচার চালানো হয়েছিল। তার ফলও মিলেছিল নির্বাচনে। কিন্তু ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন দলের নেতা-কর্মীরা। দলের কর্মীদের জনসংযোগ বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হলেও বাস্তবে তা হয়নি। তাই পুরসভা নির্বাচনে প্রার্থী পেতে বেগ পেতে হচ্ছে দলকে।’’
বিজেপির দলীয় নেতৃত্ব অবশ্য প্রার্থী পেতে বেগ পাওয়ার বিষয় মানতে চাননি। দলের জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী বলেন, ‘‘পুরসভা নির্বাচনে ভাল ফল হবে। সমাজে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে, এমন ব্যক্তিদেরই প্রার্থী করা হবে। এ নিয়ে কোথাও অসুবিধা নেই আমাদের।’’ দলের যুব মোর্চার জেলা সভাপতি শ্যাম প্রসাদ বলেন, ‘‘আমরা প্রার্থীদের এখনই প্রকাশ্যে আনতে চাই না। যথা সময়ে প্রার্থীদের সঙ্গে এলাকার বাসিন্দাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে।’’
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি শহর ব্লক সভাপতি মোহন বসু বলেন, ‘‘আমরা মানুষের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। যা করতে পেরেছি, তা যেমন মানুষের কাছে প্রকাশ্যে বলেছি, যা করতে পারিনি, তা-ও তুলে ধরছি। বিজেপিকে জলপাইগুড়ি পুরসভা এলাকার বাসিন্দারা প্রত্যাখান করবেন।’’
জলপাইগুড়ি শহর ব্লক কংগ্রেস সভাপতি পিনাকী সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘প্রার্থী বাছাইয়ে আমাদের কোনও অসুবিধা হচ্ছে না। বিজেপির মতো দলের সঙ্গে কোনও মানুষ থাকতে পারেন না।’’ সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য প্রদীপ দে বলেন, ‘‘সারা বছর ধরে মানুষের সুখ-দুঃখে থাকি আমরা। নির্বাচনী পাখিদের সঙ্গে মানুষ থাকতে চান না। ’’