মাঝরাতে সংঘর্ষে জখম দুই

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জখম এক তৃণমূল কর্মীর নাম রহিম আলি মিঞা। তাঁকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১১ মে ২০১৮ ২২:০৬
Share:

গুলিবিদ্ধ: দিনহাটা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুলিতে জখম রহিম আলি। নিজস্ব চিত্র

দুই দুষ্কৃতী দলের সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল দিনহাটা থানার গীতলদহের দরিবস এলাকা। রবিবার মাঝরাতের ঘটনা। তৃণমূলের দাবি, তাদের দু’জন কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ওইদিন দুপুরেই গীতলদহের আটিয়াবাড়িতে প্রচার সভা করেন শাসক দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জখম এক তৃণমূল কর্মীর নাম রহিম আলি মিঞা। তাঁকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আরেকজন জখম তৃণমূল কর্মীকেও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনার পর এলাকায় দুষ্কৃতী তাণ্ডব নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন তৃণমূলের স্থানীয় বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়া। তিনি দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেফতার এবং আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন। দিনহাটার এসডিপিও কে উমেশ গণপত বলেন, “দু’পক্ষের গন্ডগোলের জেরে ওই ঘটনা ঘটেছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।”

বিধায়ক জগদীশবাবুর অভিযোগ, গীতলদহ-সহ একাধিক এলাকায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বেড়ে গিয়েছে। পরপর আক্রান্ত হচ্ছে তৃণমূল কর্মীরা। এমনকী, পুলিশের উপরেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এইসব ঘটনায় অভিযুক্তদের নাম পুলিশকে দেওয়া হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, “পুলিশ দুষ্কৃতীদের দ্রুত গ্রেফতার করুক। না হলে ভোটে এলাকার মানুষ অংশ নিতে সাহস পাবেন না। দলীয় নেতৃত্বকে সে কথা জানিয়েছি।”

Advertisement

বেশ কিছুদিন ধরেই দিনহাটায়, বিশেষ করে গীতলদহে গন্ডগোলের ঘটনা ঘটছে। ইতিমধ্যেই এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। রহিম আলিকে নিয়ে দু’জন তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ। এমনকী, পুলিশের সঙ্গেও দুষ্কৃতীদের গুলির লড়াই হয়েছে। দু’জন পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন। তার পাশের গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বোমার আঘাতে এক তৃণমূল কর্মীর হাত উড়ে যায় বলেও জানান তিনি।

রবিবার দুপুরে গীতলদহের কাছেই আটিয়াবাড়িতে সভা করেন সুব্রত বক্সী। এরপর ওইদিন রাত ১২টায় জারি ধরলায় রহিম আলির বাড়িতে আক্রমণ করে একদল দুষ্কৃতী। তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। তাঁর ডান হাতে গুলি লাগে। আরেক তৃণমূল কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। ওই রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও কেউ গ্রেফতার হয়নি।

বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে’র অভিযোগ, “গীতলদহ তথা গোটা দিনহাটায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ চলছে। যুব সংগঠনের সঙ্গে তৃণমূলের ওই লড়াইয়েই গুলি-বোমা চলছে দেদার। প্রথমে আগ্নেয়াস্ত্রের ভয় দেখিয়ে বিরোধীদের দাঁড়াতে দেয়নি। এখন নিজেদের মধ্যে লড়াই করছে।” তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ বলেন, “যারা দুষ্কর্মে যুক্ত, তারা দুষ্কৃতী। কে কোন দল করছে তা বড় কথা নয়। পুলিশের কাছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement