থমকে থাকা পঞ্চায়েতে এবার বিডিও-র মাধ্যমেই কাজ

মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গের জেলাশাসকদের নিয়ে বৈঠক করে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মামলার জন্য কিছু জায়গায় বোর্ড গঠন থমকে গিয়েছে। কিন্তু, জরুরি কাজ তো ফেলে রাখা যাবে না। তাই বিডিও-দের দিয়ে সেই কাজ করানো হবে। জেলাশাসকের মাধ্যমে বিডিও-দের এক এক জনকে ১ কোটি টাকা করে দেওয়া হবে।’’

Advertisement

কিশোর সাহা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৮ ০৪:২২
Share:

থমকে থাকা কাজ করবেন বিডিও-রা।

সুপ্রিম কোর্টে মামলা বিচারাধীন। তাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখলে আসা জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন এখনই সম্ভব নয়। ফলে, গ্রামের নানা জরুরি পরিষেবা দেওয়া ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের পক্ষে সম্ভবও নয়। তাই নানা গ্রামে জরুরি পরিষেবামূলক যে সব কাজ থমকে রয়েছে, তা চালু করাতে বিডিও-দের ১ কোটি টাকা করে দেবে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর।

Advertisement

মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গের জেলাশাসকদের নিয়ে বৈঠক করে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মামলার জন্য কিছু জায়গায় বোর্ড গঠন থমকে গিয়েছে। কিন্তু, জরুরি কাজ তো ফেলে রাখা যাবে না। তাই বিডিও-দের দিয়ে সেই কাজ করানো হবে। জেলাশাসকের মাধ্যমে বিডিও-দের এক এক জনকে ১ কোটি টাকা করে দেওয়া হবে।’’ কাজ হওয়ার পরে জেলাশাসক শংসাপত্র দিলে ফের ওই বিডিওকে ১ কোটি টাকা দেওয়া হবে বলেও মন্ত্রী জানিয়েছেন। সরকারি সূত্রের খবর, ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে দক্ষিণ দিনাজপুরে ৬১টি, কোচবিহারে ৭৭৭টি, মালদহে ৩৪টি আসন তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে। উত্তরের বাকি জেলাগুলি মিলিয়ে মোট সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ২ হাজারে।

বিধি অনুযায়ী, গ্রামোন্নয়নের অধিকাংশ কাজ ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের মাধ্যমেই করাতে হয়। কারণ, গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের গ্রাম সংসদের সুপারিশ মেনেই কাজের অগ্রাধিকার ঠিক করতে হয়। তা হলে ওই ২ হাজার জনপ্রতিনিধিকে এড়িয়ে বিডিও-দের দিয়ে সেই অগ্রাধিকার তালিকা তৈরি হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সে ক্ষেত্রে শাসকদল হওয়ার সুবাদে বিডিও-দের প্রভাবিত করে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের এলাকায় বেশি কাজ করিয়ে নিতে পারেন বলে আশঙ্কা রয়েছে বিরোধীদের।

Advertisement

বিজেপির উত্তরবঙ্গের অন্যতম আহ্বায়ক রথীন বসু বলেন, ‘‘ত্রিস্তর পঞ্চায়েত বিধি ভেঙে কাজ হলে আমরা আপত্তি জানাব।’’ কংগ্রেসের আলিপুরদুয়ারে প্রবীণ নেতা বিশ্বরঞ্জন সরকারের আশঙ্কা, লোকসভা ভোটের আগে বিডিও-দের সামনে রেখে উন্নয়নের নামে অনেক কিছুই হতে পারে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা আশা করব, আমজনতার টাকায় রাজনীতি হবে না।’’

মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এই বিষয়টি অবশ্য কয়েক জন অফিসার তুলেছিলেন। সরকারি সূত্রের খবর, তখন কয়েক জন জেলাশাসক জানান, কোথায় কোন কাজ হবে, তা চূড়ান্ত করার আগে সংশ্লিষ্ট নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মতামত নিলে বিতর্ক এড়ানো যাবে।

মন্ত্রীর দাবি, আশঙ্কার কিছু নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement