মঞ্চে আলো, ধোঁয়া আর ‘দ্য লোকাল ট্রেন’

মাইকে সবে ঘোষণা হয়েছে মঞ্চে এ বার ‘দ্য লোকাল ট্রেন’ আসবে। আমরা পড়িমরি করে ছুট লাগালাম মঞ্চের দিকে। চারদিক থেকে তখন সবাই ভিড় জমাচ্ছে মঞ্চের চারপাশে।

Advertisement

অস্মিতা বসু মজুমদার

বিটেক, তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৫:১৪
Share:

উন্মাদনা: চলছে কলেজের অনুষ্ঠান। নিজস্ব চিত্র

মাইকে সবে ঘোষণা হয়েছে মঞ্চে এ বার ‘দ্য লোকাল ট্রেন’ আসবে। আমরা পড়িমরি করে ছুট লাগালাম মঞ্চের দিকে। চারদিক থেকে তখন সবাই ভিড় জমাচ্ছে মঞ্চের চারপাশে। সবাই চেষ্টা করছে মঞ্চের যত কাছে যাওয়া যায়। মুহূর্তের মধ্যে ভরে গেল মাঠ। এত উন্মাদনা আমি এর আগে কখনও দেখিনি। তারপর থেকে আমরা মুগ্ধের মতো শুনে গিয়েছে ওদের গান।

Advertisement

মঞ্চে আলো, ধোঁয়া আর ‘দ্য লোকাল ট্রেন’-এর চেয়ে ভাল কোনও কম্বিনেশন আর হয় কিনা এ দিনের পরে সেই বিষয়ে আমার অন্তত সন্দেহ থাকবে।

শালবাড়িতে আমাদের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। গত কয়েক বছর ধরে কলেজের অনুষ্ঠানে একক গায়ককেই নিয়ে আসা হয়। কিন্তু এ বার প্রথম থেকেই অন্য রকম কিছু চাইছিলেন ছাত্রছাত্রীরা। সেই মতো কলেজের সাংস্কৃতিক ইউনিটের সকলে মিলে খোঁজ শুরু করলাম কোন গানের ব্যান্ডকে আনা যায়। তখনই কয়েকজন ‘দ্য লোকাল ট্রেন’ এর ব্যাপারে বলেছিলেন।

Advertisement

দিল্লি ও অন্য জায়গার আইআইটিগুলোর ফেস্টে ‘দ্য লোকাল ট্রেন’ আগেও অনুষ্ঠান করেছে। সেই ভিডিয়ো আমারা অনেকেই দেখেছি। বেশ ভালও লেগেছে। তাই কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ওদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হয়। ‘দ্য লোকাল ট্রেনে’র সঙ্গে যোগাযোগ করা গেল। ওদের স্লটও খালি পাওয়া গেল, তাই আমরা ওদেরই এ বার নিয়ে এলাম।

ওই ব্যান্ড আসছে সেই কথা কলেজে চাউর হতেই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াতে থাকে। উত্তরবঙ্গে প্রথমবার এল দলটি। আর তা আমাদের কলেজে। সেই কারণে কিছুটা গর্বও হচ্ছে আমাদের।

আমাদের কলেজের গত কয়েক বছরের ফেস্টে কোনও ব্যান্ড আসেনি। কিন্তু কলেজে ব্যান্ড এলে তার মেজাজটাই আলাদা হয়। সারা স্টেজ জুড়ে দাপিয়ে বেড়ানো, আলোর ঝলকানি সব মিলিয়ে একটা দারুণ অনুভুতি। ব্যান্ডের শিল্পীরা সকলে মিলে যেন অনুষ্ঠানের পুরো সময়টাই মাতিয়ে রাখতে পারেন।

আমাদের অনেক বন্ধুবান্ধব রয়েছে অন্য অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। যখনই তাঁরা এই অনুষ্ঠানের কথা জানতে পেরেছে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছিল। কিন্তু তাঁদের আমন্ত্রণ করতে পারিনি। কারণ কলেজের নিয়ম অনুসারে, কেবলমাত্র কলেজের ছাত্রছাত্রীরাই এই অনুষ্ঠান দেখতে পারবেন। তাই বন্ধুদের প্রবল ইচ্ছে থাকলেও জানিয়ে দিতে হল যে তাদের ডাকা যাচ্ছে না। আমাদের কলেজে প্রায় ৮০০ ছাত্রছাত্রী রয়েছে। আমি যেমন ব্যান্ডের গান পছন্দ করি, সকলে হয়তো তা পছন্দ করে না কিন্তু ওই ব্যান্ডটির জনপ্রিয়তা লক্ষ্য করে অনেকেই এ দিন হাজির হয়েছিলেন। কলেজ ফেস্টে ব্যান্ডের জনপ্রিয়তা আবার হয়তো ফিরে আসছে। কলেজের কিছু শিক্ষক শিক্ষিকাও এ দিনের অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement