দেখভাল নেই, ধুঁকছে বক্সার সংগ্রহশালা

রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধুঁকছে বক্সা পাহাড়ে বন দফতরের সংগ্রহশালা। অভিযোগ উঠেছে বক্সা দুর্গে থাকা অনুশীলন সমিতির বিপ্লবীদের স্মৃতিবিজড়িত অনেক কিছুই আজ আর সংগ্রহশালায় নেই। স্থানীয় জনজাতিদের ব্যবহার করা নানা সামগ্রীও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ।

Advertisement

নারায়ণ দে

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৭ ০২:৫৪
Share:

স্মৃতি: সংগ্রহ থেকে খোয়া যাচ্ছে নানা সামগ্রী। নিজস্ব চিত্র

রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধুঁকছে বক্সা পাহাড়ে বন দফতরের সংগ্রহশালা। অভিযোগ উঠেছে বক্সা দুর্গে থাকা অনুশীলন সমিতির বিপ্লবীদের স্মৃতিবিজড়িত অনেক কিছুই আজ আর সংগ্রহশালায় নেই। স্থানীয় জনজাতিদের ব্যবহার করা নানা সামগ্রীও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ।

Advertisement

বক্সা পাহাড়ের বক্সা দুর্গ ডুয়ার্সের পর্যটকদের অন্যতম গন্তব্যস্থল। এখন বক্সা দুর্গে ভাঙা প্রাচীর ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। এখানেই বন দফতরের উদ্যোগে তৈরি হয়েছিল এই সংগ্রহশালা। বক্সা দুর্গে রাখা বন্দিদের বিষয়ে নানা তথ্যও রয়েছে সেখানে। কিন্তু অধিকংশ সময় সংগ্রহশালাটি বন্ধ থাকে বলে অভিযোগ। সংগ্রহশালার পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডিএফডি প্রদীপ বাউরি।

সন্তলাবাড়ি থেকে পর্যটকদের বক্সা পাহাড়ে ঘোরাতে নিয়ে যান ট্যুরিস্ট গাইড কাঞ্ছা প্রধান, মনোজ লেপচারা। তাঁরাই জানাচ্ছে, গত কয়েক বছরে বক্সা পাহাড়ের সংগ্রহশালাটির অনেক জিনিসের দেখা মিলছে না। কলকাতা থেকে আসা এক পর্যটক মান্টি দে জানান, ‘‘সন্তলাবাড়ি থেকে গাইড ছাড়াই পাহাড়ে উঠেছিলাম। কিন্তু গিয়ে দেখি বক্সা পাহাড়ের সংগ্রহশালাটি তালা বন্ধ।’’ স্থানীয় গাইডরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ সময় বন্ধ থাকে সংগ্রহশালাটি। মাঝে মধ্যে গাইডরাই চাবি জোগাড় করে তালা খুলে সংগ্রহশালাটি দেখান পর্যটকদের।

Advertisement

আলিপুরদুয়ার নেচার ক্লাবের চেয়ারম্যান অমল দত্ত জানান, ইংরেজ শাসকরা বিপ্লবীদের বন্দি রাখতেন বক্সা দুর্গে। অনুশীলন সমিতির বিপ্লবী ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী-সহ একাধিক বিপ্লবী বন্দি ছিলেন সেখানে। পরে সংগ্রহশালায় বিপ্লবীদের তৈলচিত্র ছিল। সেগুলো আর দেখতে পাওয়া য়ায় না বলে জানাচ্ছেন গাইডরা।

ন্যাফের মুখপাত্র অনিমেষ বসু বলেন, ‘‘ঐতিহাসিক জিনিসগুলো সংরক্ষণ করা দরকার। কিছু পুরনো ছবি পাশে ডরমেটরিতে পড়ে রয়েছে আছে বলে শুনেছি।’’ ২০০৯ সালে সংগ্রহশালাটি সংস্কার করা হয়েছিল। তখন বিভিন্ন জিনিসের নাম দিয়ে তা প্রর্দশনীর জন্য রাখা হয়েছিল, সেই জায়গাগুলো এখন ফাঁকা পড়ে রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement