রাজু বিস্তা। —ফাইল চিত্র
অসমের এনআরসির তালিকা থেকে এক জনও ‘প্রকৃত গোর্খা’র নাম বাদ গেলে নিজের চেয়ার ছেড়ে দেবেন বলেই ঘোষণা করলেন দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। মঙ্গলবার দার্জিলিংয়ের মংপুতে দলীয় সভা থেকে এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘একজন গোর্খাকেও দেশ ছেড়ে যেতে হবে না। যারা এনআরসি নিয়ে রাজনীতি করছেন করুন। কোনও লাভ হবে না।’’ সাংসদের সেই ঘোষণাকে অবশ্য কটাক্ষ করে মোর্চার একটি অংশের সভাপতি বিনয় তামাং বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই দেড় লক্ষাধিক গোর্খার নাম অসমের এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা থেকে থেকে বাদ পড়েছে। তাই নৈতিক দায় স্বীকার করে রাজু বিস্তার পদত্যাগ করা উচিত।’’ ‘প্রকৃত’ গোর্খা বলতে সাংসদ কাদের বোঝাতে চান, তার ব্যাখ্যাও চেয়েছেন বিনয়।
সোমবার দার্জিলিঙের তাকভরে সভা করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন রাজু। ঘণ্টা দুয়েক তাঁর গাড়ি আটকে রেখে কালো পতাকা দেখান কিছু মানুষ। সাংসদের অভিযোগ, বিনয়পন্থী মোর্চা পরিকল্পিতভাবেই বিক্ষোভ দেখিয়েছে। এ দিন বিনয় ও জিটিএ-র বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া দেন রাজু। বলেন, ‘‘বেআইনিভাবে জিটিএতে ক্ষমতা দখল করে রেখেছেন বিনয় তামাং, অনীত থাপা। পাহাড়ের উন্নয়নে কোনও কাজ হচ্ছে না।’’
এ দিন পাহাড়ের আরও কয়েকটি এলাকায় সভা করেন রাজু। বৈঠক করেন জিএনএলএফ সভাপতি মন ঘিসিং ও বিমলপন্থী মোর্চার মুখপাত্র বিপি বজগাইয়ের সঙ্গেও। বজগাই বলেন, ‘‘পাহাড়ে পুলিশ ও গুন্ডা দিয়ে নির্বাচিত গণতন্ত্রের কন্ঠরোধ করতে চাইছেন বিনয় তামাংরা। আমরা সাংসদের পাশে থাকব।’’
এনআরসির তালিকা থেকে গোর্খাদের নাম বাদের খবর জানার পরে পাহাড় জুড়ে আন্দোলনে নেমেছেন বিনয়রা, তৃণমূল, সিপিএম-সহ পাহাড়ের স্থানীয় একাধিক দল। পাল্টা প্রচার শুরু করেছে বিজেপি ও তাদের সহযোগী দলগুলি। এ দিন অনীত বলেন, ‘‘অসমের এনআরসি প্রমাণ করেছে বিজেপি গোর্খাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এখন সাংসদ শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চাইছেন।’’