প্রতীকী ছবি।
অসম-ভুটান সীমান্তে আন্তঃরাজ্য অস্ত্র পাচারকারী চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে সন্দেহ করছে পুলিশই। বুধবার কুমারগ্রাম পুলিশের জালে ভিন রাজ্যের দুই অস্ত্র পাচারকারি গ্রেফতার হওয়ার পরে সেই সন্দেহ জোরদার হয়েছে।
ওই দিন বিকেলে অসম বাংলা সীমান্তের কুমারগ্রাম ব্লকের ঘাকসাপাড়া এলাকায় অস্ত্র বিক্রি করতে এসে অস্ত্র পাচারকারী সন্দেহে ভিন রাজ্যের দুই যুবক পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। গোপন সুত্রে খবর পেয়ে ক্রেতা সেজে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই ওই এলাকায় অস্ত্র বিক্রির জন্য ঘাঁটি গেড়েছিল ওই দুই দুষ্কৃতি। দু’জনেই বিহারের পূর্ণিয়া জেলার বাসিন্দা। একজনের নাম সমীরকুমার দাস। অন্যজন মনীশকুমার যাদব। এ দের কাছ থেকে একটি ওয়ান শটার বন্দুক ও একটি নাইনএমএম পিস্তল ও বেশ কিছু কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের দাবি, ধৃতরা জেরায় স্বীকার করেছে বিহার থেকে তারা অস্ত্র বিক্রি করতেই এ রাজ্যে এসেছিল।
কুমারগ্রাম এক সময় কেএলও-র আতঙ্কে কাঁপতো। খুন-অপহরণের মত ঘটনা ঘটিয়ে কেএলও গোটা উত্তরবঙ্গে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করেছিল। কুমারগ্রামের কেএলও প্রধান জীবন সিংহ বাদ দিয়ে বাকি প্রায় সব সদস্য পুলিশের কাছে ধরা পড়ে, অথবা আত্মসমর্পণ করে মূলস্রোতে ফিরে আসে। তাঁরা কেউ এখন বালি-পাথরের ব্যবসা করছেন। এখন সেই আতঙ্ক আর নেই কুমারগ্রামে। তবে পঞ্চায়েত ভোটের আগে কুমারগ্রামে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকার সাধারণ বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
গোয়েন্দা সূত্রে এও জানা গিয়েছে যে, নামনি অসমের বেশ কয়েকটি জঙ্গিগোষ্ঠী কোণঠাসা হয়ে টাকা উপার্জনের জন্য অস্ত্র কারবারের দিকে ঝুঁকছে। অসমের কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর কাছে সেই অস্ত্র বিক্রি করতে এসেছিল কি না সেটা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার আভারু রবীন্দ্রনাথ বলেন, “আমরা গুরুত্ব দিয়ে এই ঘটনার তদন্ত করছি। ওই অস্ত্র কোথায় কাদের কাছে বিক্রি করার পরিকল্পনা ছিল তা তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত থাকলে তাদেরও গ্রেফতার করা হবে।’’