মাটিগাড়া থানার আইসি সমীর দেওসার শালবাড়ির আবাসনে হানা দেয় রাজ্য দুর্নীতি দমন শাখা। সোমবার। ছবি: স্বরূপ সরকার
শিলিগুড়িতে পুলিশের দুই ইনস্পেক্টর-ইন-চার্জের (আইসি) আবাসনে হানা দিল রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা। পুলিশ সূত্রের খবর, অফিসারদের ফ্ল্যাটে, বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথিপত্র, টাকা, সোনা উদ্ধার হয়েছে। বেশ কয়েক দিন ধরেই ওই দুই অফিসারের উপরে নজর রেখেছিল দুর্নীতি দমন শাখা। আরও কয়েক জন অফিসার সম্পর্কে খোঁজখবর শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
রবিবার মালদহের চাঁচল থানার আইসি পূর্ণেন্দুকুমার কুণ্ডুর শিলিগুড়ির আবাসনে তল্লাশি চালান দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকেরা। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের মাটিগাড়া থানার আইসি সমীর দেওসার মিরিকের বাড়িতেও যান তাঁরা। সোমবার শালবাড়িতে সমীর দেওসার আরেকটি আবাসনে হানা দেয় রাজ্য দুর্নীতি দমন শাখা। দুপুর ১টা নাগাদ আবাসনে হানা দেয় পাঁচ জনের দলটি। এর কিছু পরে, আবাসনে ডাকা হয় আইসিকে। অনেক রাত পর্যন্ত তল্লাশি চালান আধিকারিকেরা। যদিও অভিযানের ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলতেচাননি দলের কর্তারা। অভিযানের নেতৃত্ব এবং তদারকিতে এক আইপিএস অফিসার রয়েছেন।
দুর্নীতি দমন শাখার অভিযানে বেশ কিছু সোনা, জমি সংক্রান্ত কাগজপত্র পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। পূর্ণেন্দুকুমার কুণ্ডু এক সময় শিলিগুড়িতে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি চাঁচল থানার আইসি পদে রয়েছেন। মাঝে মালদহের ইংরেজবাজার থানায় কর্মরত ছিলেন। শিলিগুড়িতে মাটিগাড়ার চাঁদমণির কাছে একটি উপনগরীতে ফ্ল্যাট কিনেছেন তিনি। সেখানেই হানা দেয় দুর্নীতি দমন শাখা। সূত্রের দাবি তাঁর আরও কোথাও জমি, আবাসন রয়েছে কি না, তার খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। অন্য দিকে, সমীর দেওসা দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের আইসি ছিলেন। সেখান থেকে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটে বদলি হয়ে আসেন। রবিবার তাঁর মিরিকের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে কিছু নথিপত্র পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। সোমবার শালবাড়িতে আবাসনে দীর্ঘক্ষণ ছিল দলটি। প্রধাননগর থানা এলাকায় আইসির আবাসন হলেও, সেখানে দুর্নীতি দমন শাখা থাকাকালীন আবাসনের নীচে মাটিগাড়া থানার সাদা পোশাকের পুলিশ হাজির ছিল। যা জানার পরে পুলিশের শীর্ষকর্তারাকিছুটা অসন্তুষ্ট হন।
শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার অখিলেশকুমার চর্তুবেদী বলেন, ‘‘মাটিগাড়া থানার আইসি-র আবাসনে দুর্নীতি দমন শাখা তদন্ত করছে।’’ মালদহ জেলার চাঁচল থানার আইসিকে নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি পুলিশ কমিশনার। দুই আইসির মধ্যে সমীর দেওসা কিছু বলতে চাননি। চাঁচল থানার আইসির ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।