অমিত শাহ। ছবি: সংগৃহীত।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাত দিয়েই উত্তরবঙ্গে ‘পরিবর্তন যাত্রা’র সূচনার পরিকল্পনা নিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। রাজ্যের তরফে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে সেই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তিনি কোনও কারণে আসতে না পারলে দলের সভাপতি জেপি নড্ডা যাতে আসেন সেই অনুরোধও রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিলিগুড়িতে ওই ‘পরিবর্তন যাত্রা’র পরিকল্পনা তৈরিতে উত্তরের জেলাগুলির নেতাদের নিয়ে বৈঠক বসেন কেন্দ্রীয় সম্পাদক অরবিন্দ মেনন।
৬ ফ্রেূব্রুয়ারি কোচবিহারে শুরু হয়ে রথ শিলিগুড়িতে আসবে ১৫ ফেব্রুয়ারি। এই রথ যাত্রা দিয়েই বিধানসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে নিজেদের পক্ষে হাওয়া তুলতে মরিয়া বিজেপি। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিনের বৈঠকে একটি রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। ঠিক হয়েছে, উত্তরবঙ্গের প্রায় প্রতিটি বিধানসভা ছুঁয়ে ছুটবে রথ। প্রতিদিন তিনটি বিধানসভা ঘোরার কথা রথের। যে বিধানসভায় ওই রথ পৌঁছতে পারবে না, সেখান থেকে একটি উপরথ বের হবে। ওই উপরথ এসে প্রধান রথের সঙ্গে যোগ দেবে। দার্জিলিং, কালিম্পং থেকে এমনই দু’টি উপরথ এসে শিলিগুড়িতে প্রধান রথের সঙ্গে যোগ দেবে।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধানসভা ও লোকসভা ধরে ধরে জনসভাও হবে। রথের সঙ্গে সবসময়ই একজন কেন্দ্র অথবা রাজ্যের নেতা থাকবেন। রথে যোগ দিতে পারেন বিজেপিশাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও। রথে দাঁড়িয়ে বিজেপির যিনি প্রধান নেতৃত্ব থাকবেন, তিনি সেখানে কয়েক মিনিটের বক্তব্য রাখবেন। সেই সব জায়গায় আশেপাশের এলাকা থেকে সাইকেল বা বাইক মিছিল করে বিজেপি কর্মীরা জমায়েত হবেন। জানা গিয়েছে, সরস্বতী পুজোর দিন রথ বন্ধ থাকবে। ৩-৪ মার্চ রথযাত্রা পর্ব শেষ হবে। উত্তরবঙ্গ জোনের পরিবর্তন যাত্রার রথপ্রমুখ নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “সব রকম প্রস্তুতি চলছে। দিল্লি থেকে ওই রথ আসবে। কোচবিহার থেকে পরিবর্তন যাত্রা শুরু হয়ে শিলিগুড়ি হয়ে শেষ হবে মালদহে।”
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পরিবর্তন রথ কোচবিহার মদনমোহন বাড়িতে পুজো দিয়ে রাসমেলার মাঠ থেকে ওই যাত্রার সূচনার কথা প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে। রথ যে পথ দিয়ে যাবে সেই সব এলাকায় শক্তিকেন্দ্র ধরে ধরে একটি করে স্বাগত সভা হবে। সেখানে রথে পুষ্পবৃষ্টি করা হবে। দলীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, একটি ভলভো বাস নিয়ে রথ তৈরি করা হবে। দার্জিলিং, কালিম্পং বা কার্শিয়াংয়ের মতো পাহাড়ি এলাকায় ওই রথের পৌঁছনো কঠিন। সে জন্য কোনও ঝুঁকি না নিয়ে ওই এলাকা থেকে উপরথ বার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
দলের রাজ্য কমিটির এক নেতার কথায়, ‘‘লোকসভা ভোটের হিসাবে ৫৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৩৭টি কেন্দ্রে আমরা এগিয়ে ছিলাম। সেগুলিতে বাড়তি প্রচারে রথ, উপরথ, সভা বেশি হবে।’’