বন্ধুত্ব, নয়তো লড়াই

বিধানসভার মতো লোকসভা নির্বাচনেও রাজ্যে আসন সমঝোতা করে লড়াই-এর ইঙ্গিত দিয়েছে বাম ও কংগ্রেস। তবে দু’দলের মধ্যে জটিলতা শুরু হয়েছে রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ আসন নিয়ে। শুক্রবার মালদহে দলীয় বৈঠকে গিয়ে রায়গঞ্জ আসনটি কংগ্রেসকে না ছাড়ায় বার্তা দিলেন সিপিএমের সাংসদ মহম্মদ সেলিম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৯ ০৫:১৩
Share:

বিধানসভার মতো লোকসভা নির্বাচনেও রাজ্যে আসন সমঝোতা করে লড়াই-এর ইঙ্গিত দিয়েছে বাম ও কংগ্রেস। তবে দু’দলের মধ্যে জটিলতা শুরু হয়েছে রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদ আসন নিয়ে। শুক্রবার মালদহে দলীয় বৈঠকে গিয়ে রায়গঞ্জ আসনটি কংগ্রেসকে না ছাড়ায় বার্তা দিলেন সিপিএমের সাংসদ মহম্মদ সেলিম। এমনকি, কংগ্রেসের সঙ্গে রায়গঞ্জ আসনে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াইয়ের কথাও মেনে নেননি তিনি। তিনি বলেন, ‘‘বন্ধুত্ব ও লড়াই এক সঙ্গে কখনও হয় না। লড়াই হলে লড়াইয়ের মতোই হবে।’’ ফলে মহম্মদ সেলিমের বক্তব্যে বাম-কংগ্রেসের আসন সমঝোতা ধাক্কা খেল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এ দিন কলকাতায় বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু ঘোষণা করে দেন, রায়গঞ্জ আসনে এ বারেও তাঁদের প্রার্থী মহম্মদ সেলিম।

Advertisement

বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেসের আসন সমঝোতা রাজ্যে ধাক্কা খেলেও সাফল্য পেয়েছিল মালদহে। জেলার ১২টি আসনের মধ্যে ১১টিই পেয়েছিল বাম-কংগ্রেস। আর মাত্র একটি আসন পেয়েছিল বিজেপি। বিধানসভার মতো লোকসভা নির্বাচনেও আসন সমঝোতা করে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়েছে দু’দলই। তবে মুর্শিদাবাদ ও রায়গঞ্জের আসন নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। কংগ্রেসের দাবি, মালদহর মতো মুর্শিদাবাদ ও রায়গঞ্জও তাদের গড়। ফলে ওই আসনগুলিতে লড়াই করতে মরিয়া কংগ্রেস। ওই দু’টি আসন ছাড়তে নারাজ বামেরা। কারণ রায়গঞ্জ লোকসভা আসনটি সিপিএমের দখলে রয়েছে।

বামেরা রায়গঞ্জ আসন না ছাড়লে প্রয়োজনে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই করা হবে বলে জানান প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি তথা কোতোয়ালি পরিবারের সদস্য আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু)। তিনি বলেন, “মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও রায়গঞ্জ এখনও কংগ্রেসের খাস তালুক। বামেরা আসন না ছাড়লে প্রয়োজনে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হবে।”

Advertisement

ওই আসনে কংগ্রেসের দীপা দাশমুন্সিকে হারিয়ে জিতেছিলেন মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, “যেখানে বন্ধুত্ব থাকবে সেখানে লড়াই হবে না। আর যেখানে লড়াই হবে সেখানে বন্ধুত্ব থাকবে না।” কংগ্রেস একগুঁয়েমি করছে বলেও সুর চড়ান তিনি। তিনি বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনে উত্তর দিনাজপুরে কংগ্রেসকে একাধিক আসন ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পরাজয় হয়েছিল কংগ্রেসের। এমনকি, কংগ্রেস পরিচালিত উত্তর দিনাজপুরের চারটি পুরসভাও এখন তৃণমূলের দখলে। ফলে উত্তর দিনাজপুরে লড়াইয়ের জায়গায় রয়েছে বামেরাই।” দাড়িভিট প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি বলেন, “দাড়িভিটে আমরা সভা করেছিলাম সবার আগে। ফলে বামেদের শক্তি এখনও আছে তা সেদিনের সভা থেকেই স্পষ্ট। আর আসন নিয়ে যাবতীয় হিসেব কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব করবেন।”

এই পরিস্থিতিতে বাম-কংগ্রেসের আসন সমঝোতা ধাক্কা খেল বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি বলেন, “দু’দলের সঙ্গেই মানুষ আর নেই। রাজনৈতিক ময়দানে অপ্রাসঙ্গিক দু’দলের মধ্যে এখন আসন নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। মানুষ জানে বিজেপির মতো সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখতে পারবে একমাত্র তৃণমূলই।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement