মালদহ রতুয়ার কান্তটোলার ভাঙন কবলিত এলাকা। ছবি: উত্তম বিশ্বাস।
ভাঙন রোধে নদীর পার বাঁধাতে বরাদ্দ হয়েছিল প্রায় দু’কোটি টাকা। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে কাজ শুরুতে তৎপর হয়েছিল সেচ দফতর। রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার নির্দেশে ভাঙন রোধের কাজ বাতিল হল মালদহের রতুয়ার কান্তটোলায়। কাজ বন্ধের নির্দেশে উদ্বিগ্ন নদী-পারের বাসিন্দারা।
সম্প্রতি সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া পরিদর্শনে এলে তাঁর কাছে ভাঙন রোধের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। তিনি জানান, বিক্ষিপ্ত ভাবে ভাঙন রোধের কাজ হলে কোটি কোটি টাকা জলে যাবে। বিপাকে পড়বেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তার পরেই আধিকারিকদের টেন্ডার বাতিল করে নতুন করে পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী। জেলায় সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী থাকলেও দলীয় বিধায়ক তাঁকে কেন সমস্যার কথা জানাননি, উঠছে সেই প্রশ্ন। ঘটনায় কটাক্ষ করে সরব বিরোধীরা।
এ বার বর্ষায় রতুয়ার মহানন্দাটোলা পঞ্চায়েতের কান্তটোলার প্রায় ৭০ মিটার অংশ গঙ্গায় তলিয়ে যায়। ভাঙন রোধের দাবিতে গ্রামবাসীরা সরব হলে মুলিরামটোলা থেকে কান্তটোলা পর্যন্ত প্রায় ৫৫০মিটার এলাকায় ভাঙন রোধের কজের জন্য উদ্যোগী হয় সেচ দফতর। তাদের দাবি, এর জন্য এক কোটি ৯১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। জুন মাসে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এ মাস থেকেই নদীর পার বাঁধানোর কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল, দাবি সেচ দফতরের। সেচ দফতরের এক কর্তা বলেন, “নতুন পরিকল্পনা করে রাজ্যে পাঠানো সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। ফলে আগামী বর্ষার মরসুমের আগে কান্তটোলায় ভাঙন রোধের কাজ শুরু নিয়ে সংশয় রয়েছে।”
সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার টেন্ডার বাতিলের নির্দেশ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন,“আমি জেলার বাইরে আছি।” সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “কান্তটোলার কাজ নিয়ে বিধায়কের অভিযোগ ছিল। তাঁকে লিখিত ভাবে সে অভিযোগ জানাতে বলা হয়। তিনি অভিযোগ দিয়েছেন। আপাতত ওই গ্রামের ভাঙন রোধের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।”
এ দিন বিজেপির উত্তর মালদহের সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, “ভাঙন রোধের কাজে তৃণমূল টাকা জলে দিচ্ছে। রতুয়ায় কাজের বরাত নিয়ে হয়তো তৃণমূলের নেতা-নেত্রীর বিরোধে টেন্ডার বাতিল করা হয়েছে। দ্রুত ভাঙন রোধের কাজ হোক।”
দ্রুত পরিকল্পনা তৈরি করে ভাঙন রোধের কাজ শুরুর দাবি তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারাও।