প্রতীকী ছবি।
সমাজমাধ্যমের পোস্ট ঘিরে বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূলের কোচবিহার জেলার চেয়ারম্যান উদয়ন গুহের ভাইপো জয় গুহ। অভিযোগ উঠেছে, এক মহিলা সাংবাদিককে খুনের হুমকি দেওয়ার। তবে জয় তা অস্বীকার করেছেন। মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ বলেন, “আইন আইনের পথেই চলবে।”
জয় গুহর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে রবিবার রাতে একটি পোস্ট করা হয়। তার নীচে দিনহাটার এক মহিলা সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে জয় লেখেন, ‘ভয়ঙ্কর খেলা হবে। ওয়েট করো হয়তো খবর করার সময়টুকুও পাবে না। গৌরী লস্করের কথা মনে আছে তো?”
সোমবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা সাংবাদিক। তাঁর দাবি, দিনহাটায় একমাত্র মহিলা সাংবাদিক তিনিই। তাঁকে উদ্দেশ করে ফেসবুক পোস্টে কটূক্তি করা হয়েছিল। তারই প্রতিবাদ করেন। ওই সাংবাদিক বলেন, “আমাকে গৌরী লঙ্কেশের কথা মনে করিয়ে দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে।এ নিয়ে আমি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।’’
কোচবিহারের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, “ওই ঘটনায় সাইবার থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। নির্দিষ্ট ধারায় মামলা করা হয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” জয় অবশ্য দাবি করেছেন, তিনি কাউকে খুনের হুমকি দেননি। তিনি বলেন, ‘‘মূল পোস্টটিতে আমি দিনহাটার এক মহিলা সাংবাদিকের উল্লেখ করেছি। কারও নাম বলিনি। কাউকে খুনের হুমকিও আমি দিইনি। গৌরী লস্কর ও গৌরী লঙ্কেশের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। লস্কর একটা পত্রিকার নাম।’’ জয় জানান, পুলিশের কাছে দায়ের হওয়া অভিযোগের ব্যাপারে দলের সঙ্গে কথা বলে সব কিছু করবেন। উদয়ন বলেন, “এটা ব্যক্তিগত বিষয়। সেখানে কার ভাইপো, সেটা বড় ব্যাপার নয়।”
জয় কিছু দিন আগেই ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে তৃণমূলে যোগদান করেন। তার পরে এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ বলেন, “দলের একজন দায়িত্বশীল কর্মী এমন মন্তব্য করতে পারেন না। এমন করে থাকলে তিনি অন্যায় করেছেন। আইন আইনের পথেই চলবে।” তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘জয় গুহ নামের আমাদের দলে কেউ নেই। উনি কবে দলে ঢুকেছেন, আমাদের জানা নেই। কেউ কেউ দলের নাম ভাঙিয়ে দলের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। অবিলম্বে পুলিশের উচিত উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া।’’