নবম শ্রেণির দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার সকালে মেখলিগঞ্জ থানার ভোটবাড়ি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। এদের মধ্যে এক জন নাবালক। ধৃত পরিতোষ রায় এবং ওই নাবালকের বাড়ি ওই এলাকাতেই। ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন ওই এলাকায় অভিযুক্তরা আরও কোনও অপরাধের সঙ্গে যুক্ত কিনা তাও দেখছে পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ২৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাড়ির কাজে একটি দোকানে যায় প্রতিবেশী ওই দুই ছাত্রী। সেখান থেকে ফেরার পথে তিন যুবক তাদের পথ আটকায়। মুখ ও গলা চেপে ধরে তাদের ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। পরে আশপাশের লোকেরা ছুটে এলে অভিযুক্তরা পালায়। প্রাথমিক ভাবে ওই দু’জনের চিকিৎসা করানো হয়। পরে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে ২৬ জানুয়ারি রাতে পরিবারের লোকেরা থানায় অভিযোগ জানান। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, অভিযুক্তদের এলাকায় নেশা করে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে, সেই পথ ধরে বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় যাওয়া যায়। সেই পথ ধরে গরু পাচার হয় বলে অভিযোগ। তাই অভিযুক্তরা অন্য অপরাধেও যুক্ত কি না তা দেখার দাবি তোলা হয়েছে।
মেখলিগঞ্জের প্রাক্তন বিধায়ক ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা পরেশ অধিকারী বলেন, “আমরা ওই কিশোরীদের পরিবারের পাশে আছি। যারা এমন কাজ করেছে তাদের কঠিন শাস্তি প্রয়োজন।” গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য তথা বিজেপির মেখলিগঞ্জ মহকুমার নেতা দধিরাম রায় দাবি করেছেন, অভিযুক্তরা ওই দুই ছাত্রীর পরিবারের প্রতিবেশী। তিনি বলেন, “রাতের বেলা ওই দু’জন কেন বাড়ি থেকে বেরিয়েছে সে প্রশ্ন তুলে এক জনের মুখ চেপে ধরা হয় বলে পরিবারের সদস্যদের কাছে শুনেছি। যাই হোক এমন কাজ ঠিক নয়। ধৃতদের পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তদন্তে ঘটনা পরিষ্কার হবে।”