অন্তঃসত্ত্বা ভ্রাতৃবধূকে কুপ্রস্তাব, মার

ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ভ্রাতৃবধূকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ভাসুরের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ করতে গেলে ওই বধূর বাবা ও দাদাকে লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:৪৫
Share:

ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ভ্রাতৃবধূকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ভাসুরের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ করতে গেলে ওই বধূর বাবা ও দাদাকে লোহার রড দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের মানিকচক থানার নুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডালুটোলা গ্রামে। ঘটনায় আক্রান্ত ওই বধূ সহ তিন জনই চিকিৎসাধীন রয়েছেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনার পরিপেক্ষিতে মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে এখনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম এসরাফুল শেখ। তিনি পেশায় দিনমজুর। মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মানিকচক থানার নুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডালুটোলা গ্রামের বাসিন্দা ওই মহিলার দেড় বছর আগে বিয়ে হয় গ্রামেরই এক যুবকের সঙ্গে। ওই মহিলার বাবা নিজের জমিতে কাজ করেন। তাঁর স্বামী ভিন রাজ্যে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করেন। মাস খানেক আগে তিনি কাজের জন্য ভিন রাজ্যেই রয়েছেন।

Advertisement

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বধূর স্বামীরা দুই ভাই। তাঁদের মধ্যে এসরাফুল শেখই বড়। তিনি দিন মজুরি করেন। তাঁর তিন ছেলে মেয়ে রয়েছে। সপ্তাহ খানেক আগে তাঁর স্ত্রী ছেলেমেয়েদের নিয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছেন। এর সুযোগে ভ্রাতৃবধূকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন এসরাফুল বলে অভিযোগ। প্রথম দিকে লজ্জায় চুপ করে থাকলেও অত্যাচার আরও বাড়তে থাকে। এ দিন রাত সাতটা নাগাদ ওই বধূ নিজের ঘরেই ছিলেন।

সেই সময় আচমকা অসরাফুল শেখ ভ্রাতৃবধূর ঘরে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, বধূটি চিৎকার করলে মারধর করা হয়। তাঁর পেটেও আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। ওই দিনই রাতে পরিবারের লোকেদের ফোনে পুরো বিষয়টি জানান নির্যাতিতা বধূ।

তাঁর বাবা এবং দাদা বাড়িতে গিয়ে প্রতিবাদ জানাতে গেলে, উল্টে তাঁদের উপরেই চড়াও হয় অভিযুক্ত ভাসুর এসরাফুল শেখ। লোহার রড দিয়ে তাঁদের মাথায় আঘাত করা হয়। তারা চিৎকার শুরু হলে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে যান। অভিযুক্ত এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় তিন জনকেই নিয়ে যাওয়া হয় মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে। তবে তাঁদের আঘাত গুরুতর থাকায় রাতেই চিকিৎসকেরা স্থানান্তরিত করেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। এ দিন দুপুরেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় নির্যাতিতা বধূর বাবাকে। তিনিই মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। নির্যাতিতা বধূ বলেন, ‘‘আমার স্বামীকে ফোনে পুরো বিষয়টি জানানো হয়েছে। আমাকে লাগাতার কুপ্রস্তাব দিচ্ছিলেন আমার স্বামীর দাদা। এ দিন বাড়ি ফাঁকা থাকায় ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। আমাকে মারধর করে এবং আমার বাবা ও দাদাকে মারধর করে। আমি চাই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে শাস্তি দিক।’’ মানিকচক থানার পুলিশ জানিয়েছে, ‘‘নির্দিষ্ট ধারায় মামলারুজু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement