এক অন্তঃসত্ত্বার শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে। মহিলার চিৎকারে অনেকে ছুটে গিয়ে অভিযুক্তকে বেধড়ক মারধর করে। তাকে পুলিশের হাতেও তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে ওই ঘটনার কিছু ক্ষণের মধ্যেই হাসপাতালে যথেষ্ট চিকিৎসক নেই বলে ভাঙচুর হয়েছে।
কোচবিহারের দিনহাটার পেটলার বাসিন্দা ওই মহিলা চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
সোমবার সকালে পরিবারের লোকদের সঙ্গে হাসপাতালের ইন্টিগ্রেটেড কাউন্সেলিং অ্যান্ড টেস্টিং সেন্টারে রক্ত পরীক্ষা করাতে যান তিনি। তখন একটি ঘরে ওই সেন্টারের দায়িত্বে থাকা এক অস্থায়ী কর্মী ছিলেন। অন্য ঘরে ছিলেন কাউন্সিলর। বাইরে অপেক্ষা করছিলেন আরও কয়েকজন। অভিযোগ, অন্তঃসত্ত্বা মহিলার রক্ত নেওয়ার সময় ওই অস্থায়ী কর্মী তাঁর শ্লীলতাহানি করেন।
মহিলা বাইরে এসে কান্নাকাটি জুড়ে দিতেই শোরগোল পড়ে যায়। ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে মারধর শুরু করেন অন্য রোগীর পরিজনরা। ওই স্বাস্থ্যকর্মীর দাবি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে খারাপ আচরণ করেননি। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় শুধু বলেন, “পুলিশ বিষয়টি দেখছে।’’
কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, “অভিযোগ পেলে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ওই ঘটনার জের কাটতে না কাটতেই ঘণ্টা খানেকের মধ্যে হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসক না থাকার অভিযোগে গোলমাল শুরু হয়। সে সময় বহির্বিভাগের চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। দিনহাটা হাসপাতালের সুপার রঞ্জিত মণ্ডল বলেন, “মহিলার অভিযোগের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।” আর বহির্বিভাগে চিকিৎসক না থাকা নিয়ে তাঁর সাফাই, একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চাকরি ছেড়ে দেওয়ায় নির্দিষ্ট বিভাগটি বন্ধ রাখতে হয়। সে কারণে অনেকেই খুব সমস্যায় পড়েন।
ঘটনাচক্রে, এ দিনই দিনহাটা হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের এক প্রতিনিধি দল। তার মধ্যেই এমন জোড়া অভিযোগে অস্বস্তি বেড়েছে স্বাস্থ্যকর্তাদের। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অবশ্য দাবি করেন, ওই ঘটনা দু’টির সঙ্গে পরিদর্শনের কোনও যোগ নেই।