উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের ক্যাম্পাসে আবর্জনা। — নিজস্ব চিত্র
বছরের পর বছর ধরে হাসপাতালের আবর্জনা ফেলা হচ্ছে ক্যাম্পাসের মধ্যেই। যা থেকে মারাত্মক দূষণ ছড়াচ্ছে বলে চিকিৎসকদের একাংশের অভিযোগ। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের এই পরিবেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন তাঁরা। কর্তৃপক্ষকে বলা হলেও গত কয়েক দশকে অবস্থা বদলায়নি বলে অভিযোগ। সম্প্রতি এক মহিলা চিকিৎসক হাসপাতালের সচেতনতা প্রচার অনুষ্ঠানে বিষয়টি তুলে ধরলেন অধ্যক্ষের সামনে। তাঁর অভিয়োগ, দূষণের জন্যই বিভিন্ন অস্ত্রোপচারের পর রোগীদের সংক্রমণ ঘটছে। একই হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে, লেবার ওয়ার্ডেও সংক্রমণ ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে বলে অভিযোগ।
হাসপাতালের অধ্যক্ষ সমীর ঘোষ রায় বলেন, ‘‘দূষণ থেকে সংক্রমণের সম্ভবনা তো থাকেই। ৪ নভেম্বর রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠক রয়েছে। সেখানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।’’ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের পূর্ত বিভাগের তরফে ৭ লক্ষ টাকা খরচে ক্যাম্পাস সাফাইয়ের জন্য একটি প্রস্তাব ২১ অক্টোবর জমা করা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরে। অধ্যক্ষই তা জমা করেছেন।
কিন্তু কবে সাফাইয়ের কাজ হবে তা স্পষ্ট নয়। এই পরিস্থিতিতে মেডিসিন বিভাগ, জরুরি বিভাগ, লেবার ওয়ার্ড লাগোয়া এলাকা, বহিবির্ভাগ লাগোয়া অংশ, বস্তুত গোটা ক্যাম্পাস জুড়েই হাসপাতালের বর্জ্য স্তূপাকারে বিভিন্ন জায়গায়া পড়ে রয়েছে। কোথাও ক্যাম্পাসে বড় করে করা খোলা গর্তে দিনের পর দিন আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। সেগুলি পড়ে থেকে দূষণ ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ। ওয়ার্ডের জানলা দিয়ে রোগী, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশই আবর্জনা ফেলেন বলে অভিযোগ। তাতে ওয়ার্ডের গা ঘেঁষেই আবর্জনার স্তূপ জমছে। মেডিসিন বিভাগ, ফিমেল ক্যাজুয়ালটি বিভাগের জানলার ধারে রোগীরা দুর্গন্ধে শয্যাতে শুতে বসতে পারেন না, গা গোলায় বলে অভিযোগ। ক্যাম্পাসের মধ্যেই অস্থায়ী বাজার গড়ে উঠেছে। সেখান থেকেও প্রতিদিন অবর্জনা ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ। সম্প্রতি মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার প্রতিনিধি দল পরিদর্শনে এসেও ক্যাম্পাসের নোংরা পরিস্থিতি দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দু’দিন আগে হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে পর্যটমমন্ত্রী গৌতম দেবকে সরিয়ে দার্জিলিঙের জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তবকে বসানো হয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে ক্যাম্পাস সাফাই করার জন্য ৫ লক্ষ টাকা রোগী কল্যাণ সমিতি থেকে খরচের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। নির্বাচন পরিস্থিতিতে কাজ করা না হলেও তার পর কাজ শুরুও হয়েছিল। কিন্তু টেন্ডার না ডেকে এ ভাবে এত টাকার কাজ করা যাবে না বলে তিনিই প্রক্রিয়া মেনে টেন্ডার ডাকতে বলেন। তাতে বন্ধ হয় সাফাইের কাজ।
হাসপাতালের সুপার নির্মল বেরা বলেন, ‘‘দূষণের বিষয়টি জেলাশাসক তথা রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। আমরাও চাই ক্যাম্পাস সাফাইয়ের কাজ দ্রুত শুরু করতে। ক্যাম্পাসের আবর্জনা অন্যত্র পাঠাতে শিলিগুড়ি পুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও প্রাথমিক ভাবে কথা হয়েছে। শীঘ্রই সেগুলি চূড়ান্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
এটিএমে তাণ্ডব। এনজেপি স্টেশন এলাকার একটি ব্যাঙ্কের এটিএমে তান্ডব চালাল কয়েকজন যুবক। রবিবার দেওয়ালির রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মদ্যপ ৩/৪ জন যুবক এটিএমের ভিতরে ঢুকে গোলমাল শুরু করে। ভাঙচুরের চেষ্টাও হয়। পুলিশ পৌঁছাতেই যুবকেরা দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। অন্যদিকে, এদিন সকালে তেনজিং নোরগে বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবকের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দেহটি রাস্তার পাশে পড়েছিল। নেশা করে না কি অন্য কারনেও মৃতের মৃত্যু হয়েছে তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।