গণপিটুনিতে কঠোর ধারা

ছেলেধরা সন্দেহে একের পর এক গণপিটুনির ঘটনাই আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ প্রশাসনের কর্তাদের কাছে এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০১৯ ০৬:৪৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

গণপিটুনির ঘটনা রুখতে এ বার থানাগুলিকে আরও কড়া পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিলেন আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশের কর্তারা। সূত্রের খবর, জেলা পুলিশের তরফে থানাগুলিতে পাঠানো নির্দেশে কোনও ঘটনাকে ছোট করে না দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ধারায় মামলা রুজু করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। শেষ কয়েকটি গণপিটুনির ঘটনার ক্ষেত্রে তেমনটাই করা হচ্ছে বলেও পুলিশ সূত্রের খবর।

Advertisement

ছেলেধরা সন্দেহে একের পর এক গণপিটুনির ঘটনাই আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ প্রশাসনের কর্তাদের কাছে এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জুনের মাঝামাঝি পাটকাপাড়ায় কবিরাজি ওষুধের ব্যবসায়ী এক বৃদ্ধকে গণপিটুনি থেকে এবারের পর্ব শুরু। এর পর ছেলেধরা গুজবে পরপর কালচিনির রায়মাটাং চা বাগান, দলসিংহপাড়া, আলিপুরদুয়ারের মাঝেরডাবরি চা বাগান, জংশনের বাদলনগর চলে এমন মার। দিন কয়েক আগে জংশনের ভোলারডাবরি ও বীরপাড়ার দলগাঁও স্টেশনে অজয় বাঁসফোর নামে এক ব্যক্তিকে ছেলেধরা সন্দেহে দু’বার গণপিটুনি দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। তার দু’দিনের মধ্যে আবার মাদারিহাটে মারধর করা হয় পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা তিন যুবককে।

জেলা পুলিশকর্তারা জানিয়েছেন, গণপিটুনির ঘটনা রুখতে জেলা জুড়ে প্রায় সর্বত্রই সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে। যার ফলে বেশ কিছু জায়গায় গণপিটুনির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের একাংশকে রুখে দাঁড়াতেও দেখা গিয়েছে। কিন্তু তার পরেও এ ধরনের ঘটনা বন্ধ করা যাচ্ছে না। এই অবস্থায় গণপিটুনির ঘটনা রুখতে সচেতনতামূলক প্রচার চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি এ বার থেকে এমন ঘটনা আরও কড়া পদক্ষেপ করতে জেলার থানাগুলিকে নির্দেশ দিলেন আলিপুরদুয়ারের শীর্ষ পুলিশকর্তারা।

Advertisement

আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘সাম্প্রতিক গণপিটুনির ঘটনাগুলিতে কেউ খুব বেশি জখম না হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাধারণ ধারায় মামলা করা হচ্ছিল। কোনও কোনও ক্ষেত্রে সেগুলি ততটা কড়া ছিল না। কিন্তু এ বার থেকে এমন ঘটনা ঘটলেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কড়া ধারায় মামলা রুজু করা হবে। জেলার সব থানাকে তা বলে দেওয়া হয়েছে।’’

পুলিশ সূত্রের খবর, জেলার কর্তাদের এই নির্দেশের পর শেষ কয়েকটি ঘটনায় ধৃত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ধারায় মামলা রুজু শুরুও হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে প্রাণে মারার চেষ্টা কিংবা দাঙ্গা বাধানোর ধারাও রয়েছে। এক পুলিশকর্তা জানান, যে সব ক্ষেত্রে খুব কড়া ধারা দেওয়া হয়নি, সেগুলিতেও ওই ধারাগুলি যোগ করার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement