জলাশয় লিজে দিয়ে সংস্কারের চেষ্টা

শহরের জলাশয়গুলি মাছ চাষের জন্য লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল আলিপুরদুয়ার পুরসভা। শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের জলাশয় সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ফি বছর কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয় হয় পুরসভার তহবিল থেকে। জলাগুলি মাছ চাষের জন্য লিজ দেওয়া হলে সেই খরচ বাঁচবে। সঙ্গে জলাভূমিগুলির দখলও আটকানো যাবে। উল্টে লিজ বাবদ আয় হবে পুরসভার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০১৫ ০১:২৭
Share:

শহরের জলাশয়গুলি মাছ চাষের জন্য লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল আলিপুরদুয়ার পুরসভা। শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের জলাশয় সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ফি বছর কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয় হয় পুরসভার তহবিল থেকে। জলাগুলি মাছ চাষের জন্য লিজ দেওয়া হলে সেই খরচ বাঁচবে। সঙ্গে জলাভূমিগুলির দখলও আটকানো যাবে। উল্টে লিজ বাবদ আয় হবে পুরসভার। পুরসভা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে জলশায় লিজ নেওয়ার জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা পুরসভায় আবেদন জানিয়েছেন। বিষয়টিতে সহমত হয়েছেন বিরোধীরা।

Advertisement

পুরসভার তথ্য অনুযায়ী, আলিপুরদুয়ার শহরে ১২টি ঝিল রয়েছে। তা ছাড়া শহরে বেশ কয়েকটি পুকুর ও ডোবা রয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সংস্কারের অভাবে কচুরি পানা জমে যায় জলাগুলিতে। কোথাও আবার জলা পর্যন্ত দমকলের গাড়ি ঢুকে জল নেওয়ার মতো পর্যাপ্ত চওড়া রাস্তা নেই। ফলে শহরে অগ্নিকাণ্ড ঘটলে জলের সমস্যা দেখা দেয়। বাসিন্দাদের একাংশ ধীরে ধীরে জলাগুলিতে আবর্জনা ফেলে তা বুজিয়ে দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ।

আলিপুরদুয়ার পুরসভার তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান আশিষ দত্ত বলেন, “শহরের জলাগুলি সংস্কার করতে বছরে প্রায় ২৫-৩০ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জলাভূমিগুলি মাছ চাষের জন্য লিজে দেওয়া হবে। যাঁরা লিজ নেবেন তাঁরাই সংস্কারের বিষয়টি দেখবেন। এতে পুরসভার সংস্কারের খরচ বাঁচার সঙ্গে লিজ বাবদ আয়ও হবে। শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ঝিল লিজের জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা আবেদন করেছেন। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৫০-৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে ২০ বছরের লিজে জলাটি দেওয়া হবে। বাকি জলাভূমি গুলি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা আবেদন করলে সেগুলিও লিজে দেওয়া হবে।”

Advertisement

পুরসভার সিপিএমের বিরোধী দলনেতা অনিন্দ্য ভৌমিক বলেন, “জলাভূমি লিজে দেওয়ার উদ্যোগটি ভাল। এতে জলাভূমিগুলি পরিষ্কার থাকবে। জলা দখল আটকানো যাবে। তবে লিজের শর্ত নিয়ে কিছু সংশোধনী আমরা দিয়েছি তা মেনেছেন চেয়ারম্যান।”

১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নির্মল চক্রবর্তী, বিশ্বজিৎ ঘোষ জানান, ২৪ জন মিলে একটি কমিটি তৈরি করেছেন। মাছ চাষের জন্য ঝিলটি লিজে দেওয়ার জন্য পুরসভায় আবেদন করেছেন তাঁরা। ঝিলটি লিজে পেলে সেখানে দমকল ঢোকার রাস্তা-সহ ঝিল সংস্কার করে মাছ চাষ করা হবে।

আলিপুরদুয়ার অভিভাবক মঞ্চের সম্পাদক ল্যারি বসু বলেন, “শহরের ঝিলগুলি দীর্ঘ দিন ধরে নানা ভাবে দখলের চেষ্টা চলছে। আবর্জনা পড়ে ঝিলগুলিতে জলধারণ ক্ষমতাও কমে গিয়েছে। ঝিলগুলি মাছ চাষের জন্য লিজে দিলে সমস্যা কিছুটা মিটতে পারে। তবে যাঁরা লিজে জলাগুলি নেবেন, পরবর্তী কালে তাঁরাই যেন ঝিলগুলি দখল করে না বসেন, সেই বিষয়টি দেখতে হবে পুরসভাকে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement