ফুঁসছে তিস্তা নদি। —ফাইল চিত্র।
মৌসুমি বায়ুর অতিসক্রিয়তা এবং তার সঙ্গে নিম্নচাপ অক্ষরেখার যুগলবন্দিতে আগামী অন্তত পাঁচ দিন ফের ভারী থেকে অতিরিক্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি হল পাহাড় এবং পাদদেশের পাঁচ জেলায়। গত কয়েকদিন থেকে বৃষ্টিতে এমনিতেই বিপর্যস্ত সিকিম। এখনও প্রায় হাজার দেড়েক পর্যটক আটকে রয়েছেন বিভিন্ন এলাকায়। এর মধ্যে পাহাড়ে পর্যটকেরা বেড়াতে এলে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন বলেই মনে করছেন সিকিম প্রশাসন।
উত্তরপ্রদেশ থেকে অসম পর্যন্ত বিস্তৃত নিম্নচাপ অক্ষরেখা এখনও একই রকম সক্রিয় রয়েছে গত চার-পাঁচ দিন থেকে। ওই নিম্নচাপ অক্ষরেখা প্রবল সক্রিয় বলে ব্যাপক বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে সিকিম এবং সংলগ্ন এলাকাগুলিতে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিন দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়িতে প্রবল বৃষ্টি হবে বলে ইঙ্গিত দিল আবহাওয়া দফতর। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, এর মধ্যে কেবল দার্জিলিং এবং কালিম্পং ছাড়া আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারের মতো জেলাগুলিতে আরও অন্তত তিন-চার দিন অতিরিক্ত ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ওই লাল সতর্কতা এখন আগামী কয়েক দিন থাকবে বলেই ইঙ্গিত দিচ্ছে আবহাওয়া দফতর। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের ভারপ্রাপ্ত অধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘এই প্রবল বৃষ্টিতে পাহাড়ে ধস নামা, নদীতে হড়পা বান চলে আসার মতো ঘটনা ঘটছে। তা এখন বজায় থাকবে।’’
তিস্তার দু’পারে সিকিমের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ছাড়াও শিলিগুড়ি সংলগ্ন লালটং বস্তি পর্যন্ত একাধিক এলাকা বিপর্যস্ত তিস্তার জলে বানভাসি হয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্প এই এলাকার উপর আসছে বলেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কালিম্পং এবং দার্জিলিঙেও আগামী কয়েক দিন ভারী বৃষ্টি চলবে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে সেই সব জেলা প্রশাসনগুলিকেও।