পথে: মালদহে বিজেপির অভিনন্দন যাত্রা। নিজস্ব চিত্র
প্রদেশ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের ‘অভিনন্দন যাত্রা’র জেরে ‘আটকাল’ অ্যাম্বুল্যান্স থেকে শুরু করে স্কুলগাড়ি। অভিযোগ, সোমবার দুপুরে ওই মিছিলে ইংরেজবাজার শহরের নেতাজি মোড়ে যানজটে থমকে যায় রাজপথ।
অভিযোগ, যানজটে নাজেহাল অবস্থা হয় নিত্যযাত্রী, রোগী, পড়ুয়া, পথচারীরাও। প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকের নালিশ, মিছিলে অ্যাম্বুল্যান্সও আটকে পড়েছিল। বিজেপির কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধও করা হলেও বের করা যায়নি অ্যাম্বুল্যান্স। কোনও পদক্ষেপ করেনি ট্রাফিক পুলিশও।
গোটা শহর কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে যায় যানজটে। তার জেরে ‘অভিনন্দন যাত্রা’ ঘিরে শহরবাসীর একাংশের ছড়ায় অসন্তোষও। যদিও মিছিলে অ্যাম্বুল্যান্স আটকে থাকার কোনও অভিযোগ তাঁদের জানা নেই বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিনন্দন যাত্রায় যোগ দিতে মালদহে আসেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এ দিন দুপুর দেড়টা থেকে পুরাতন মালদহ ব্লকের সাহাপুর সেতু মোড় থেকে ইংরেজবাজার শহরে শুরু হয় অভিনন্দন যাত্রা।
অভিযোগ, মিছিল শহরের নেতাজি সুভাষ রোডে পৌঁছলে যানজটে আটকে পরে একটি অ্যাম্বুল্যান্স ও নিশ্চয়যান। অ্যাম্বুল্যান্সে ছিলেন উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের দুশমূলের মুমুর্ষূ রোগী বিনতা বর্মণ। তাঁর জামাই জয়দেব বর্মণ বলেন, ‘‘পেটের যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন শাশুড়ি। কিন্তু মিছিলে আটকে রয়েছি প্রায় এক ঘন্টা। কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানিয়েছি, পুলিশকে বলেছি। সাহায্য পাইনি।’’
তৃণমূল বিধায়ক তথা ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেন, ‘‘যদি ওই অসুস্থ রোগীর কোনও অঘটন ঘটে, তাহলে কি তা জবাব বিজেপি নেতৃত্ব দিতে পারবেন?’’ বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল অবশ্য বলেন, ‘‘মিছিলে অ্যাম্বুল্যান্স আটকে ছিল এমন অভিযোগ পাইনি। রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ ছিল, তেমন কিছু হলে পুলিশই তো অ্যাম্বুল্যান্স বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারত।’’ ট্রাফিক পুলিশও অবশ্য এ হেন অভিযোগ মানতে নারাজ।