৩রাই বেঞ্চ সরগরম

আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত তাঁর জলপাইগুড়িতেই থাকার কথা। সূত্রের খবর, জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চ উদ্বোধনের পরে মামলার প্রথম শুনানি হবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:০৩
Share:

—নিজস্ব চিত্র।

সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ৩ মার্চ কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দারের জলপাইগুড়িতে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত তাঁর জলপাইগুড়িতেই থাকার কথা। সূত্রের খবর, জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চ উদ্বোধনের পরে মামলার প্রথম শুনানি হবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে।

Advertisement

হাইকোর্টের ঘোষণামতো আগামী ৯ মার্চ সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন হওয়ার কথা। কিন্তু ৩ তারিখ থেকে প্রধান বিচারপতি থাকবেন শুনে অনেকেরই প্রশ্ন, তা হলে কি উদ্বোধনের দিন এগিয়ে আসতে পারে? যদিও রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক দাবি করেছেন, আগের ঘোষণা মতোই ৯ তারিখ উদ্বোধন এবং তার দু’দিন পর থেকে বেঞ্চে শুনানি শুরু হবে। মলয়বাবু বলেন, “এর আগে যদি ভোট ঘোষণা হয়েও যায়, তবু তার আচরণবিধিতে বিচারবিভাগের অনুষ্ঠান আটকাবে না।” আইনমন্ত্রী এ দিন জলপাইগুড়িতে এসেছিলেন। তিনি জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধনে থাকবেন। তবে ভোটের আচরণবিধি লাগু হলে মুখ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানে থাকতে পারবেন কিনা, সে প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন আইনমন্ত্রী।

দু’দিনের পরিদর্শন সেরে এ দিন মঙ্গলবার সন্ধেয় কলকাতা ফিরে গিয়েছেন দুই বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায় এবং শুভাশিস দাশগুপ্ত এবং হাইকোর্টের প্রতিনিধিদল। তার আগে অস্থায়ী আদালত ভবন ও আবাসনগুলি মিলে প্রায় ১২৭টি রদবদলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। তবে দাবি, কোনওটিই অবশ্য বড় মাপের রদবদল নয়। এ দিন দুপুরে সার্কিট হাউসে প্রশাসনের সব দফতরকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। দু’দিন ধরে তিনি বিচারপতিদের সঙ্গে পরিদর্শনে রয়েছেন। জেলাশাসক শিল্পা গৌরীসারিয়া এবং পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতিও বৈঠকে ছিলেন।

Advertisement

চলতি মাসের মধ্যে রদবদলের সব কাজগুলি শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের মূল দরজার উপর সাইনবোর্ড থেকে শুরু করে উদ্বোধনের মঞ্চের নকশা আগামী দু’দিনের মধ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে পরিদর্শনকারী দল জানিয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে মঙ্গলবার সকাল থেকেই জলপাইগুড়ির স্টেশন রোডে অস্থায়ী ভবনের সামনে মশা মারার তেল ছিটিয়েছে জলপাইগুড়ি পুরসভা। পুরসভার চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আদালত ভবনের আশেপাশে কোথাও জল জমতে দেওয়া হবে। ঝোপ সাফ করা হবে। প্রতিদিনই মশা মারার ওষুধ ছড়ানো হবে এলাকায়।” এ দিন থেকে বিএসএনএলের ফাইবার অপটিক্যাল তারও পাতা শুরু হয়েছে। সার্কিট বেঞ্চ চত্বরের সব জায়গাতেই ওয়াইফাই পরিষেবা থাকবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement