কমেছে আক্রান্ত শইশুর সংখ্যা। — ফাইল চিত্র।
শিশুদের মধ্যে জ্বর ও সর্দি-কাশির প্রকোপ কিছুটা কমছে আলিপুরদুয়ারে। ফলে খানিকটা হলেও স্বাস্তিতে জেলার স্বাস্থ্য কর্তারা। তবে, সতর্কতায় ঢিলেমি দিতে নারাজ জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
অ্যাডিনোভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের মাঝে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার সঙ্গে আলিপুরদুয়ারেও বেশ কিছুদিন ধরেই জ্বর ও সর্দি-কাশিতে ভুগতে থাকা শিশুর সংখ্যা বাড়ছিল। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ ক’দিনে প্রায় প্রতিদিন জেলার তিনটি বড় হাসপাতাল— আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল, ফালাকাটা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল ও বীরপাড়া রাজ্য সাধারণ হাসপাতাল মিলিয়ে জ্বর ও সর্দি-কাশি নিয়ে গড়ে ২৫-৩০জন করে শিশু ভর্তি হচ্ছিল। ওই সময়ে কোনও কোনও দিন সংখ্যাটা পঁয়ত্রিশেও পৌঁছে গিয়েছিল। তবে, গত তিন দিন ধরে সেই সংখ্যা কমছে বলে জেলার স্বাস্থ্য কর্তারা জানিয়েছেন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার জেলার তিনটি বড় হাসপাতাল মিলিয়ে জ্বর ও সর্দি-কাশিতে ১৭ জন শিশু ভর্তি হয়েছে।
আলিপুরদুয়ারের সিএমওএইচ সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “জ্বর ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়ে জেলার হাসপাতালগুলিতে শিশুদের ভর্তির সংখ্যা কমছে। সরকারি গাইডলাইন অনুযায়ী এখনও জেলা থেকে কোনও নমুনা নাইসেডে পাঠাতে হয়নি। তবে আমরা সতর্ক রয়েছি।”
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে জেলার তিনটি বড় হাসপাতালে জ্বর ও সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত শিশুদের কথা মাথায় রেখে আলাদা ক্লিনিক খোলা হয়েছে। পাশাপাশি, বীরপাড়া রাজ্য সাধারণ হাসপাতালের শিশু বিভাগে অতিরিক্ত কয়েকটি শয্যার ব্যবস্থা হচ্ছে। আলিপুরদুয়ারের স্বাস্থ্য কর্তাদের নির্দেশে আশাকর্মীরা জেলা জুড়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিশুরা কেউ জ্বর বা সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত কিনা, সেই খোঁজ নিতে শুরু করেছেন। জেলার এক স্বাস্থ্য কর্তা জানান, বাড়ি বাড়ি খোঁজ নিতে গিয়ে জ্বর বা সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত কোনও শিশুর সন্ধান মিললে, তখনই তাকে কাছের সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।