বামদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের সম্মতি না নিয়ে ২০১৫-১৬ আর্থিক বছরের ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ পাশ করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। সোমবার রায়গঞ্জের কর্ণজোড়ায় জেলা পরিষদের সম্প্রসারিত ভবনে ২০১৫-১৬ আর্থিক বছরের বাজেট পাশ করানোর জন্য একটি বৈঠক হয়। বামফ্রন্টের সদস্যরা ওই বৈঠক বয়কট করলেও তৃণমূল ও কংগ্রেস সদস্যদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে বাজেট পাশ হয়ে যায়। এরপর অ্যাকশন প্ল্যান পাশ করানোর জন্য সাধারণ সভার বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকের মাঝপথে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ ২০১৫-১৬ আর্থিক বছরে রাজ্য ও কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পে জেলার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তাঘাট, কালভার্ট ও সংখ্যালঘুদের বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য ভবন নির্মাণ খাতে ১২ কোটি টাকার অ্যাকশন প্ল্যানের প্রস্তাব পাশ হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করেন। তখনই বৈঠকে উপস্থিত জেলা পরিষদে বামফ্রন্টের ৭ সদস্য ও বামফ্রন্ট পরিচালিত গোয়ালপোখর-২, কালিয়াগঞ্জ, হেমতাবাদ ও চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতির ৪ জন সভাধিপতি মিলিয়ে মোট ১১ জন জনপ্রতিনিধি সভা থেকে ওয়াকআউট করে বাইরে বেরিয়ে যান। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ফরওয়ার্ড ব্লকের লাল বানুর অভিযোগ, “আমার সম্মতি ও সাক্ষর ছাড়াই জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ অ্যাকশন প্ল্যান পাশ করিয়ে স্বেচ্ছাচারিতার পরিচয় দিয়েছে। প্রতিবাদে বামফ্রন্টের সদস্যরা সাধারণ সভার বৈঠকে প্রতিবাদ জানিয়ে ওয়াকআউট করেন।” যদিও বামেদের সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি তথা তৃণমূলের রায়গঞ্জ ব্লক সভাপতি পূর্ণেন্দু দে। তাঁর দাবি, গত একমাস ধরে জেলা পরিষদের বামফ্রন্টের সদস্যদের একাধিকবার বাজেট ও অ্যাকশন প্ল্যান নিয়ে প্রস্তাব জমা দেওয়ার অনুরোধ করা হলেও তাঁরা তা দেননি।
গত ২৭ মার্চ পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ জেলা পরিষদে হাজির থেকেও অ্যাকশন প্ল্যানে সই করতে রাজি হননি। তা ছাড়া সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সাধারণ সভার বৈঠকে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনপ্রতিনিধিদের সমর্থনে যে কোনও উন্নয়নমূলক প্রকল্পের প্রস্তাব পাশ করানো যায়। ইটাহারের তৃণমূল বিধায়ক অমল আচার্যের কটাক্ষ, “রাজনৈতিক স্বার্থে উন্নয়নে বাধা না দিয়ে ভবিষ্যতে পঞ্চায়েত আইন জেনে সরকারি বৈঠকে হাজির হওয়া উচিত বামফ্রন্টের সদস্যদের ।”