Coochbehar

দ্বন্দ্ব রুখতে নজর দিতে চান অভিষেক

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বারের লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার আসন হাতছাড়া হওয়ার পরে দলীয় কোন্দল মেটাতে পদক্ষেপ করেন তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্ব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:০৮
Share:

ফাইল চিত্র।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিন কয়েক আগেই কোচবিহার সফরে এসে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। দলের অন্দরমহলের খবর, তার পরেও পরিস্থিতি খুব একটা বদলায়নি। এমনকী শীর্ষ নেতাদের কোন্দলও প্রকাশ্যে এসেছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহারের মতো এক সময়ের শক্তিশালী ঘাঁটিতে দলের এই হাল নিয়ে রাজ্য নেতৃত্ব খুশি নন। রাশ টানতে এ বার সরাসরি কোচবিহারে নজরদারি শুরু করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের একাধিক নেতা-কর্মীদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে তাঁর। টিম পিকের সদস্যরা নিজেদের মতো করে প্রতি দিন জেলার রিপোর্ট পাঠাচ্ছেন কলকাতায়। তার বাইরেও আলাদা ভাবে খোঁজ রাখছেন অভিষেক। যদিও এই বিষয়ে জেলার নেতাদের কেউ প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাননি। দলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “দলের সবাই ঐকবদ্ধ ভাবেই কাজ করছি। দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা আলোচনার মাধ্যমেই মিটিয়ে নিয়েছি। রাজ্য নেতৃত্ব সবসময়ই সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন।”

Advertisement

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বারের লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার আসন হাতছাড়া হওয়ার পরে দলীয় কোন্দল মেটাতে পদক্ষেপ করেন তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্ব। রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে সরিয়ে প্রথমে বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ এবং সম্প্রতি পার্থপ্রতিম রায়কে দলের জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। তার পরেও কোন্দল কমেনি। সম্প্রতি কোচবিহার পুরসভার প্রশাসক ভূষণ সিংহ মুখ্যমন্ত্রীর সভামঞ্চে জায়গা না পাওয়ার অভিযোগ তুলে তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। দলের অন্দরমহলের খবর, টিম পিকে এই নিয়ে রিপোর্ট পাঠিয়েছে রাজ্যে। জেলার দলীয় নেতাদের অনেকেই বিধানসভার নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করতে আবেদন জানিয়েছেন রাজ্য নেতৃত্বের কাছে।

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সি কোচবিহারে দলের পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত খোঁজখবর শুরু করেছেন। কোথায় কী হচ্ছে? কার জন্যে হচ্ছে তা নিয়েও বিশদে খোঁজ নিচ্ছেন। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক জেলায় দলের শীর্ষ নেতাদের এক জন বলেন, “কেউ দলবিরোধী কাজ করছেন কি না, সে দিকে নজর রাখা হচ্ছে। কারও ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য দলের ক্ষতি হচ্ছে কি না, তারও খোঁজ নিচ্ছেন নেতৃত্ব। যে কোনও সময় কড়া পদক্ষেপ করা হতে পারে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement