বিধায়কের নাম ভাঙিয়ে সরকারি চাকরির টোপ দিয়ে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে প্রতারিত যুবকের মা শিলিগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির কংগ্রেস বিধায়ক শঙ্কর মালাকারের ঘনিষ্ঠ কর্মী পরিচয় দিয়েছিল ইমতিয়াজ আলি। পুরসভার অফিসারদের সই করা কিছু নথিপত্র দেখিয়ে সে ২০১৪ সাল থেকে নানা আশ্বাস দিয়ে দফায় দফায় প্রায় ৩ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। শুক্রবার সকালে শহরের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ওই প্রতারিত যুবক তার পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে শঙ্করবাবুর সঙ্গে দেখা করেন। সমস্ত কিছু শোনার পর বিধায়ক কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ওই যুবককে দ্রুত পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ছেলেটিকে কোনও বেসরকারি সংস্থায় চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাসও দেন তিনি। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইন মেনে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার চেলিং সিমিক লেপচা। অভিযুক্ত বলে, ‘‘আমি পরিবারটি চিনি। কারও নাম করে টাকা নিইনি। বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে।’’ শঙ্করবাবু জানান, অভিযুক্ত যুবককে তিনি চেনেন। বছর দেড়েক আগেও সে কংগ্রেস কর্মী ছিল। তিনি বলেন, ‘‘এখন অন্য দলে নাম লিখিয়েছে শুনেছি। আমার পরিচিত আরও বেশ কয়েক জনের টাকা হাতিয়েছে বলেও খবর পাচ্ছি। পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলছি।’’ পুলিশ জানিয়েছে, প্রতারিত যুবকের কাছ থেকে দু’টি পুরসভার নথি মিলেছে। প্রতারিত যুবক বলেন, ‘‘বিভিন্ন লোক দিয়ে আমাকে টেলিফোন করত ইমতিয়াজ। পরিবারের সবার সঙ্গে কথা বলত, আমরা বিশ্বাস না করে পারিনি।’’ বিষয়টি শুনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পুরসভায় মেয়র অশোক ভট্টচার্য। কলকাতা থেকে পড়া শেষ করে ফিরে প্রাইভেট টিউশন করে সংসার চালান ওই যুবক। তাঁর মা বলেন, ‘‘গয়না বিক্রি করে দু’বছর ধরে টাকা দিয়েছি। এখন বুঝছি, পুরোটাই জালিয়াতি।’’