মদে বাধা, স্ত্রী, ছেলেকে খুনের চেষ্টা

বুধবার সকালে হবিবপুরের বুলবুলচণ্ডী পঞ্চায়েতের মিলপাড়ায় এই ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ ওই বধূ ও তাঁর সন্তান চিকিৎসাধীন মালদহ মেডিক্যালে

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:২০
Share:

ফাইল চিত্র।

স্বামীকে মদ খেতে নিষেধ করেছিলেন স্ত্রী। তার জেরে স্ত্রী এবং দেড় বছরের ছেলেকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠলো মদ্যপ স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীকে গণপ্রহার দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় গ্রামবাসীরা।

Advertisement

বুধবার সকালে হবিবপুরের বুলবুলচণ্ডী পঞ্চায়েতের মিলপাড়ায় এই ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ ওই বধূ ও তাঁর সন্তান চিকিৎসাধীন মালদহ মেডিক্যালে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মা ও ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের শরীরের ৯০ শতাংশ অংশ পুড়ে গিয়েছে। ধৃত মিঠু সিংহকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ, বৃহস্পতিবার তাকে পেশ করা হবে মালদহ জেলা আদালতে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মিঠু সিংহের সঙ্গে দু’বছর আগে বিয়ে হয় দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের মেয়ে সোনালির। বাড়ির অমতেই তাঁরা বিয়ে করেন। মিঠু কাঠমিস্ত্রির কাজ করেন। প্রতিবেশীরা জানান, বিয়ের পর থেকে মদ খাওয়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ রোজকার হয়ে উঠেছিল। অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় সোনালিকে মারধর করত মিঠু। এমনকী, কাজ না করে বাড়ির আসবাবপত্র বিক্রি করেও মদ খেত সে। মঙ্গলবার রাতেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। তাই রাতে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায় মিঠু। এ দিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে আসে সে। তারপরেই ছেলে এবং স্ত্রীকে ঘরে ঢুকিয়ে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। তাঁদের চিৎকারে প্রতিবেশী এবং আত্মীয়েরা ছুটে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ মা-ছেলেকে উদ্ধার করেন। তারপরেই পড়শিরা তাঁদের নিয়ে যান বুলবুলচণ্ডী গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁদের মালদহ মেডিক্যালে পাঠানো হয়। অভিযুক্ত মিঠুর ভাই উজ্জ্বল সিংহ বলেন, “আমরা নিষেধ করলেও স্ত্রীকে মারধর করত দাদা। মদের জন্য নিজের ছেলে এবং স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করবে ভাবতেই পারছি না।”

Advertisement

ঘটনার পরই স্থানীয় বাসিন্দারা মিঠুকে আটকে রেখে মারধর করে। পরে হবিবপুর থানার পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য বিবেক সিংহ বলেন, “ঘটনাটি মর্মান্তিক। আমরা সব রকম ভাবে চেষ্টা করছি মা ও ছেলেকে সুস্থ করে তোলার জন্য।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement