ব্যবস্থা: বুধবার জলপাইগুড়ির রাস্তায় অভিযান চালিয়ে ধরা হচ্ছে মাস্কহীন ব্যক্তিদের। ছবি: সন্দীপ পাল।
করোনা প্রতিষেধক টিকার প্রথম ডোজ় নেওয়ার পর নির্দিষ্ট ৮৪ দিন পার হলেও জলপাইগুড়ি জেলার প্রায় ৯০ হাজার উপভোক্তা দ্বিতীয় ডোজ় পাননি।
টিকার সঙ্কটে দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়া যায়নি বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতরের। আজ বৃহস্পতিবার রাজ্য স্বাস্থ্য ভবন থেকে ৭০ হাজার ও কালিম্পং স্বাস্থ্য দফতর থেকে ২০ হাজার কোভিশিল্ড টিকা আনা হচ্ছে। এই মুহূর্তে প্রথম ডোজ় টিকা দেওয়া বন্ধ রেখে দ্বিতীয় ডোজ় দিতে বাড়তি উদ্যোগী হচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর ।
জেলার ৫৪টি সরকারি ও ৩টি বেসরকারি টিকাকরণ শিবিরে বুধবার বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত ৮,৭৪৫ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। জেলায় এখনও পর্যন্ত ১৪ লক্ষ ৭৯ হাজার ৬৭৬ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজ় টিকা দেওয়া হয়েছে ১১ লক্ষ ৬১০৩ জনকে। দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়া হয়েছে ৩ লক্ষ ৭৩ হাজার ৫৭৩ জনকে। জেলার মোট জনসংখ্যার মাত্র ৪৩ শতাংশ মানুষকে এখনও পর্যন্ত টিকা দেওয়া হয়েছে।
জলপাইগুড়ি শহরের টোটো চালক নাজ মহম্মদ বলেন, ‘‘প্রথম ডোজ় টিকা পেলেও এখনও পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ় পাইনি। প্রায় দিনই টিকা নিতে এসে ঘুরে যাচ্ছি।’’ বীণা মালাকার বলেন, ‘‘প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার প্রায় একশো দিন পার হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ়ের টিকা পাইনি।’’
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, জেলায় টিকার মজুত ভান্ডারে টান দেখা দিয়েছে। এদিন বিকেল পর্যন্ত প্রায় মাত্র আট হাজার কোভিশিল্ড টিকা মজুত রয়েছে। কোভ্যাক্সিন টিকা মজুত রয়েছে প্রায় ১২ হাজার। নতুন করে কোভ্যাক্সিন টিকা পাওয়া না গেলে আগামী সপ্তাহ থেকে কোভ্যাক্সিন টিকা দেওয়া বন্ধ রাখতে হবে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। কোভিশিলড টিকাও চাহিদা অনুযায়ী পাওয়া না গেলে এই টিকা দেওয়ার কাজেও অসুবিধে হবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমেন্দ্রনাথ প্রামাণিক বলেন, ‘‘চাহিদা অনুযায়ী টিকা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে টিকা দেওয়ার কাজ কিছুটা হলেও ব্যহত হচ্ছে। আজ, বৃহস্পতিবার কোভিশিলড টিকা এসে পৌঁছলে এখন থেকে টানা কয়েকদিন দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হবে।’’