জাল নথি বানিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট শহরে দেদার সিমকার্ড বিক্রির অভিযোগে ধৃত চার জনকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। জেলার পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘ কারা ওই সিমকার্ড কিনতেনতার হদিশ পেতে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
ওয়েবসাইট থেকে নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা ডাউনলোড করে অন্যের ছবি ও নথি জেরক্স করে অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে একটি বেসরকারি মোবাইল সংস্থার সিমকার্ড বিক্রির কারবার চালাচ্ছিল বলে অভিযোগ। বিশেষত জলপাইগুড়ি জেলার একাধিক মহিলার নামে সিমকার্ড বিক্রি হয়েছে বলে পুলিশ তদন্তে জেনেছে। এ ব্যাপারে সরেজমিন তদন্ত করতে পুলিশ জলপাইগুড়ি রওনা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
ইতিমধ্যে পুলিশ শহরের বঙ্গি এলাকায় হানা দিয়ে ওই কারবারের এক পান্ডার বাড়ি থেকে একটি কম্পিউটার, রাবার স্ট্যাম্প, স্ট্যাম্প তৈরির সরঞ্জাম এবং এক হাজার সিম বাজেয়াপ্ত করেছে। পুলিশ জেনেছে, ভুয়ো নথির সিম কিনে নানা অসামাজিক কাজকর্ম করে পরে তা ভেঙে ফেলা হতো। ফলে অভিযোগ হলেও পুলিশ মূল অভিযুক্তদের হদিশ-ই পেত না।
গত ৩০ মে রাতে বালুরঘাট থেকে পুলিশ ওই ৯ জনকে গ্রেফতার করেছিল। ৩১ মে ধৃতদের আদালতে তুলে পুলিশ তাপস কুন্ডু, শুভজিত দাশগুপ্ত, সুবীর দাস এবং মলয় মণ্ডল এই চারজনের ১১ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করে। বিচারক ওই চারজনকে তিনদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়। এ দিন চারজনকে ফের হাজির করানো হলে তদন্তকারীরা ফের ১১ দিনের পুলিশ হেফাজত চাইলে তীব্র বিরোধিতা করেন অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী দিলীপ কুমার ঘোষ এবং দীপু লস্কর। সরকারি পক্ষের আইনজীবী তাপস চট্টোপাধ্যায় পুলিশি হেফাজতের সপক্ষে যুক্তি দিলে বিচারক হিদয়তুল্লা ভুটিয়া ৩ দিনের পুলিশ হেফাজত দেন।