কারও বয়েস আঠারোর কম। কারও বা বেশি। বেশ কিছু দিন ধরেই মেয়েদের স্কুলের সামনে দেখা যেত এই ছেলেছোকরাদের। বিভিন্ন সময়ে তারা মেয়েদের উত্যক্ত করে বলে অভিযোগ। এত দিন ধরে এই অভিযোগগুলো জমছিল জলপাইগুড়ির পুলিশের কাছে। শনিবার স্কুলগুলির সামনে সাদা পোশাকে ছিলেন কোতোয়ালি থানার বেশ কয়েক জন পুলিশ। তাঁদের তৎপরতায় শেষে পাকড়াও এমনই সাত জন। নাবালক বলে এদের তিন জনকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বস্তুত, জলপাইগুড়িতে স্কুলের মেয়েদের উত্যক্ত করা নিয়ে অভিযোগ অনেক দিনের। কোতোয়ালি থানার এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, এই অভিযোগ কোনও নির্দিষ্ট স্কুল থেকে আসেনি। বহু জায়গাতেই এমন ছেলেদের দেখা গিয়েছে। এই অভিযানও এ দিনই প্রথম নয়। গত কয়েক দিন ধরে দফায় দফায় মোট ন’জনকে ধরা হয়েছে।
তবে এ দিন অভিযানের মাত্রা ছিল অন্য দিনের থেকে বেশি। কদমতলা গার্লস হাই স্কুল ও সেন্ট্রাল গার্লস স্কুলের সামনে তৈরি হয়ে বসেছিলেন সাদা পুলিশের লোকজন। তাঁদের বক্তব্য, এ দিন হাতেনাতে পাকড়াও করতেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল পুলিশবাহিনী। এবং কার্যত ঘটেছেও তাই। পুলিশের হাতে পড়ে প্রথমে হতচকিত হলেও পরে ছেলেরা হাত ছাড়িয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। এদের একটি মোটরবাইকও আটক করা হয়েছে।