বিধ্বস্ত: দুর্ঘটনার পরে এমনই হাল হয়েছে বাসের। নিজস্ব চিত্র
ট্রাকের সঙ্গে বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হল বাসের চালক ও দুই যাত্রীর। জখম হয়েছেন কমপক্ষে ২৫ জন যাত্রী। বুধবার ভোরে ইসলামপুর থানার রামগঞ্জ এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত বিমান মোহান্তের (৪৫) বাড়ি খরাই বালুরঘাট এলাকায়। বাসের চালক ছিলেন তিনি। এ ছাড়া এক বৃদ্ধা নিত্য বর্মন (৬০) ও বাবলু সরকার (৪০) মারা যান। তঁারাও বালুরঘাটের বাসিন্দা। দমকলের ইঞ্জিন গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে ইসলামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই বেসরকারি বাসটি এ দিন ভোরে বালুরঘাট থেকে শিলিগুড়ির দিকে যাচ্ছিল। ইসলামপুর থানার রামগঞ্জ এলাকায় শিলিগুড়ি অভিমুখে যাচ্ছিল একটি চালবোঝাই ট্রাক। বেসরকারি বাসটি রামগঞ্জ ফ্লাইওভারে ওভারটেক করার সময় ট্রাকটিকে পেছন থেকে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ইসলামপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সেখানে যায় দমকলের একটি ইঞ্জিন। জানা গিয়েছে, ইসলামপুর হাসপাতালে ১৭ জনকে চিকিত্সার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় শিলিগুড়ি পাঠানো হয়। বাসের যাত্রী রাজ্জাক সরকার, আলতাব হুসেনরা জানান, গঙ্গারামপুর থেকে নেপালে চোখ দেখাতে যাওয়ার কথা ছিল। বাসটি সারা রাত ভালই নিয়ে এসেছিল। ভোরের দিকে হঠাৎই একটা জোরে ঝাঁকুনি লাগে। তাতেই সিট থেকে ছিটকে পড়েন সকলে।
বাসের চালকের ঘুমে চোখ লেগে গিয়েই এই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছে পুলিশ। বাগডোগরার গোঁসাইপুরের বাসিন্দা অপর এক যাত্রী রাজু ওঁরাও বলেন, ‘‘চালকের দিকেই দু’টো সিট পরে বসে ছিলাম। দুর্ঘটনায় ওই দিকটিরই বেশি ক্ষতি হয়েছে। দুর্ঘটনার পর কথা বলার মতো পরিস্থিতি ছিল না। একটু পরে বাড়ির লোকেদের ফোন করে জানিয়েছি।’’ দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই বাস ও ট্রাকটিকে আটক করেছে। ইসলামপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রদীপ যাদব বলেন, ‘‘দেহ দু’টি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। আহতদের চিকিত্সা শুরু হয়েছে। তাঁদের পরিবারের লোকেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।