Jalpaiguri

কুমড়োর আড়ালে ৪০ লক্ষ টাকার বর্মা টিক, ধৃত ২

জাতীয় সড়ককে ব্যবহার করে বেআইনি কাঠ পাচারের অভিযোগ উঠছে জলপাইগুড়িতে। বন দফতরের দাবি, গত ছ’মাসে প্রায় ৫০ কোটি টাকার সেগুন কাঠ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

জলপাইগুড়ি: শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২২ ০৮:৪৪
Share:

লুকনো: আটক লরি থেকে কাঠ উদ্ধারের জন্য ফেলে দেওয়া হচ্ছে কুমড়ো। সোমবার জলপাইগুড়ির জাতীয় সড়কের পাশে। নিজস্ব চিত্র।

বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই। দেখা যাচ্ছে, লরি-ভর্তি মিষ্টি কুমড়ো! কিন্তু সে কুমড়োর স্তূপের ভিতরে লুকোনো ছিল প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার দামি বর্মা সেগুন (বার্মা টিক) কাঠ! পাচার করার ছক ছিল। কিন্তু গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জাতীয় সড়ক থেকে ওই কাঠ বাজেয়াপ্ত করলেন জলপাইগুড়ির বৈকুণ্ঠপুর বন বিভাগের বেলাকোবা রেঞ্জের বনকর্মীরা। পাচারের যুক্ত থাকার অভিযোগে লরি চালক ও তার এক সঙ্গীকে গ্রেফতার করল বন দফতর। ধৃত দু’জনের বাড়ি মহারাষ্ট্রে বলে জানা গিয়েছে। তাদের আজ, মঙ্গলবার জেলা আদালতে তোলার কথা।

Advertisement

বার বার জাতীয় সড়ককে ব্যবহার করে বেআইনি কাঠ পাচারের অভিযোগ উঠছে জলপাইগুড়িতে। বন দফতরের দাবি, গত ছ’মাসে প্রায় ৫০ কোটি টাকার সেগুন কাঠ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হওয়া সব কাঠ বর্মা সেগুন ছিল। কাঠ পাচারের অভিযোগে ৫০ জনেরও বেশি পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বন দফতরের তদন্তে উঠে এসেছে, বর্মা সেগুন কাঠের দাম অনেকটাই বেশি। এর আগে তুষ, কাচের বোতল, সিমেন্টের বস্তার আড়ালে সেগুন কাঠ পাচারের ছক ভেস্তে দিয়েছিল বন দফতর। এ বার কুমড়োর আড়ালে ভিন্ রাজ্য থেকে সেগুন কাঠ বোঝাই করে কলকাতার উদ্দেশে যাচ্ছিল। খবর পেয়ে সোমবার সদর ব্লকের রানিনগরের জাতীয় সড়কে ওই কুমড়ো বোঝাই লরি আটক করে বন দফতর৷ এর পরেই কুমড়ো সরাতেই বেরিয়ে আসে, একাধিক সেগুন কাঠের পাটাতন। কাঠের বৈধ কাগজ না থাকায়, দু'জনকে গ্রেফতার করে বনদফতর।

বৈকুন্ঠপুর বনবিভাগের ডিএফও হরি কৃষ্ণন বলেন, ‘‘প্রচুর সেগুন কাঠ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে রানিনগরের জাতীয় সড়ক থেকে। দু'জনকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement