প্রতীকী ছবি।
এবার করোনা থাবা বসাল উত্তরের সেনা ছাউনিতে। জলপাইগুড়ির বিন্নাগুড়ি সেনা ছাউনির ১২ জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর।
এ দিন জেলা জুড়ে নতুন করে ৪০ জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সেনা জওয়ানরা ছাড়াও রাজগঞ্জের ৬ জন-সহ ডুয়ার্সের বাসিন্দারা আক্রান্তের তালিকায় রয়েছেন। সেনা জওয়ানদের সংক্রমণের খবরে উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসনও। সূত্রের খবর, একাধিক জওয়ান এবং সেনা অফিসারকে কোয়রান্টিনে রাখা হয়েছে। আক্রান্তদের বেশিরভাগেরও উপসর্গ নেই বলে দাবি। তাঁদের সেফ হোমে আনা হচ্ছে বলে রাত পর্যন্ত খবর। সেনা ছাউনিতে কোনও কোভিড হাসপাতালের বন্দোবস্ত হতে পারে বলেও খবর। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক অভিষেক তিওয়ারি বলেন, “বিন্নাগুড়ির সেনা ছাউনিতে কয়েকজনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সেনা অফিসারদের সঙ্গে প্রশাসনের আধিকারিকরা যোগাযোগ রেখেই পদক্ষেপ করছেন।”
সেনা জওয়ানরা কী ভাবে সংক্রমিত হলেন তার তথ্যও খুঁজছে স্বাস্থ্য দফতর। সূত্রের খবর, সম্প্রতি উত্তর-পূর্ব ভারতে সেনা জওয়ানদের আসা-যাওয়া বেড়েছিল। বিন্নাগুড়ি সেনা ছাউনিতেও বাইরে থেকে কেউ কেউ এসেছিলেন বলে খবর। সেই ব্যক্তিদের থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে স্বাস্থ্যকর্তারা মনে করছেন। যদিও এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কেউ জানাতে পারেননি।
করোনা মোকিলায় জলপাইগুড়িতে সমন্বয় নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। রাজ্য সরকারের নির্দেশ ছিল বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা থেকে কনটেনমেন্ট জোনে লকডাউন শুরু হবে। এ দিকে শহরের কনটেনমেন্ট জ়োনগুলি কতটা এলাকা নিয়ে হবে তা ঠিক করতে জলপাইগুড়ি পুরসভায় বৈঠক হয়। বৈঠকের পরে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আজ, শুক্রবার এলাকা পরিদর্শন করে কনটেনমেন্ট জ়োন কতটা এলাকা জুড়ে হবে তা নির্দিষ্ট করা হবে। শহরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের নিউসার্কুলার রোড ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের শিল্প সমিতি পাড়াতে দু'জন আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে এ দিন। পুরসভার প্রতিনিধিরা এলাকা গেলেও কনটেনমেন্ট জ়োন করেনি বলে দাবি স্থানীয়দের। পুরসভা প্রশাসকমন্ডলীর চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল বলেন, ‘‘নির্দেশ মেনেই কাজ হচ্ছে।’’
দিনবাজার, বয়েলখানা বাজার, স্টেশন পাড়া, বউ বাজার, মিউনিসিপালিটি মার্কেট এবং অনান্য বাজার আগামী সোমবার থেকে সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত খোলা থাকবে বলেও পুরসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে ছিলেন সদর মহকুমাশাসক রঞ্জনকুমার দাসও তিনি বলেন, ‘‘দ্রুত প্রক্রিয়া সারা হবে। কনটেনমেন্ট জ়োনে বিধিনিষেধে কড়াকড়ি হবে।’’