জ্বলন্ত: নৈহাটিতে বিস্ফোরণের পরে স্থানীয়দের রোষানলে পুড়ল পুলিশের গাড়ি। বৃহস্পতিবার। —ফাইল চিত্র।
সরকারি ভাবে তদন্তে নামছে না তারা। কিন্তু নৈহাটির বিস্ফোরণ সম্পর্কে শুক্রবার বিকেল থেকেই খোঁজখবর শুরু করেছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। বৃহস্পতিবার বিস্ফোরণ ঘটে পুলিশের বাজেয়াপ্ত করা বাজির মশলা নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে। তার আগে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছিল এবং সেই ঘটনা নিয়ে ৩ জানুয়ারি নৈহাটি থানায় এফআইআর হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই বিষয়ে খোঁজ নিয়েছে এনআইএ। সংশ্লিষ্ট বাজি কারখানার মালিক, দেবক গ্রামের নুর হোসেন সম্পর্কেও তথ্য জোগাড় করছে তারা।
তবে পুলিশি সূত্রের খবর, এ ক্ষেত্রে এখনই এনআইএ তদন্তের কোনও সম্ভাবনা নেই। কোনও বড় মাপের বিস্ফোরণ হলেই এনআইএ খোঁজখবর করে। আগে দমদমে ফলের দোকানের বিস্ফোরণেও এনআইএ-কর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। তথ্য জোগাড় করেছিলেন। দার্জিলিঙে আন্দোলনের সময় ছ’টি আইইডি বিস্ফোরণ হয়েছিল। প্রতিটি বিস্ফোরণের জন্যই বিমল গুরুংয়ের নেতৃত্বে মোর্চা বাহিনীর বিরুদ্ধে ইউএপিএ ধারায় মামলা করেছিল রাজ্য পুলিশ। দার্জিলিঙে আইইডি বিস্ফোরণের অতীত ইতিহাস ছিল না। পাহাড়ে গিয়েও তথ্য সংগ্রহ করেছিল এনআইএ। যদিও কোনওটিরই তদন্তভার তাদের হাতে যায়নি। নৈহাটি বিস্ফোরণের ক্ষেত্রেও প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করে রাখছে তারা।
আরও পড়ুন: সাক্ষাৎ এড়ালেন শিশির ও সমরেশ