—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বাঁকুড়ার শালতোড়ার লাউপাহাড়ি এলাকায় মোটরবাইকে বিস্ফোরণে এক জনের মৃত্যুর তদন্তে নেমে দুই অভিযুক্তকে হেফাজতে নিল এনআইএ। বুধবার ধনঞ্জয় গড়াই এবং করিমুল খান নামে ওই দু’জনকে বিচারভবনে এনআইএ-র বিশেষ আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাঁদের পাঁচ দিনের এনআইএ হেফাজতের নির্দেশ দেন। ঘটনার পর ওই দু’জনকে গ্রেফতার করেছিল জেলা পুলিশ। তাঁরা জেলা হেফাজতে ছিলেন। এনআইএর কৌঁসুলি শ্যামল ঘোষ জানান, বিস্ফোরণের পিছনে কারা তা জানতে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
৩০ অগষ্ট রাতে লাউপাহাড়ি এলাকার রাস্তায় একটি মোটরবাইকে বিস্ফোরণ হয়। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় মোটরবাইক চালক জয়দেব মণ্ডলের। তদন্তে নেমে জেলা পুলিশ জানতে পারে জয়দেবের মোটরবাইকে ডিটোনেটার এবং জিলেটিন স্টিক নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তাতেই বিস্ফোরণ ঘটে। পুলিশ বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে। গত মাসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে ওই মামলার তদন্তভার নেয় এনআইএ।
এনআইএ সূত্রের দাবি, ধৃত ধনঞ্জয় ও করিমুলের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ২০ কেজি জিলেটিন উদ্ধার হয়েছে। ধনঞ্জয় বিস্ফোরকের মজুতদার। তাঁকে বিস্ফোরক সরবারহ করেন করিমুল। ওই দু’জনের থেকেই জয়দেব বিস্ফোরক পান। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ওই বিস্ফোরক মজুত এবং সরবরাহের পিছনে একটি চক্র রয়েছে। যারা বেআইনি ভাবে ওই বিস্ফোরক পাচার করে। বছর দুয়েক আগে বীরভূমের দুবরাজপুরে ওই রকম বিস্ফোরক পাচারের মামলায় একটি চক্রের সন্ধান পেয়েছিলেন এনআইএ-র তদন্তকারীরা। গোয়েন্দাদের অনুমান, এর পিছনে খাদানে বেআইনি ভাবে বিস্ফোরক পাচারের যোগ রয়েছে। তবে এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক যোগ রয়েছে কিনা তা নিয়ে এনআইএ-র তরফে কিছু বলা হয়নি।