—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
অবশেষে দাড়িভিট কাণ্ডে এফআইআর রুজু করল এনআইএ। সূত্রের খবর, সম্প্রতি চোদ্দ জনের বিরুদ্ধে খুন, অস্ত্র এবং বিস্ফোরক আইন-সহ প্রায় দশটি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। প্রায় এক বছর আগে এই মামলার তদন্তের ভার এনআইএ-র হাতে দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। কিন্তু সিআইডি মামলার নথি হস্তান্তর করেনি। সম্প্রতি মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব-সহ রাজ্যের প্রশাসনের তিন শীর্ষকর্তাকে আদালত তিরস্কার করার পরে ওই নথি হস্তান্তর হয়। এর পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার খুনের ঘটনার ভারও এনআইএ-কে দিয়েছে কোর্ট। সেই মামলাতেও এফআইআর রুজু করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।
২০১৮ সালের উত্তর দিনাজপুরের দাড়িভিট স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে গোলমালের সময় গুলিতে ওই স্কুলের দুই প্রাক্তনী তাপস বর্মণ ও রাজেশ সরকারের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় সিআইডি-তদন্তে অনাস্থা জানিয়ে হাই কোর্টে মামলা করে নিহতদের পরিবার। মামলায় দেখা গিয়েছিল, সিআইডির তদন্তে বহু ফাঁকফোকর আছে। শনিবার নিহত তাপস বর্মণের বাবা বাদল বর্মণ বলেন, “অনেক দিন হয়ে গেল। তদন্ত এখনও শুরু হয়নি। আমরা চাই, তদন্তের কাজ দ্রুত শুরু হোক। শুনেছি, এনআইএ তদন্তে অনেকটা এগিয়েছে। মামলা করেছে ওরা। শুধু আমরা নয়, এই কাণ্ডের কবে কিনারা হবে তা নিয়ে এলাকাবাসী অপেক্ষায় রয়েছেন।”
অন্য দিকে, গত বছর মে মাসে বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে তাঁর স্ত্রী এবং ছেলের সামনে থেকে মারধর করে তুলে নিয়ে যায় এক দল দুষ্কৃতী। বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন স্ত্রী এবং ছেলে। ওই ঘটনার পরের দিন বাড়ির কাছে পুকুরপাড় থেকে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় বিজয়ের। পরিবার ৩৪ জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে। যার ভিত্তিতে পুলিশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করে। ওই ঘটনায় আদালতের নির্দেশে আলিপুরের কমান্ড হাসপাতালে ওই বিজেপি নেতার দ্বিতীয় বার ময়না তদন্ত করা হয়েছিল।