অণ্ডাল বিমানবন্দর থেকে উড়ে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টার। রবিবার দুপুরে। ছবি: ওমপ্রকাশ সিংহ
ঝাড়খণ্ডের দুমকায় যাতায়াতের পথে রবিবার অণ্ডাল বিমানবন্দর ঘুরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্য সরকারের তরফে এ দিন তাঁকে স্বাগত জানান মন্ত্রী মলয় ঘটক। ছিলেন জেলার পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকেরাও। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বিজেপির একটি প্রতিনিধি দলও। ওই দলের তরফে বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরীর দাবি, রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন তাঁরা।
এ দিন দুপুর সওয়া ১টা নাগাদ বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে অণ্ডালে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। দুপুর ১টা ৪০ মিনিট নাগাদ তিনি হেলিকপ্টারে দুমকার উদ্দেশে রওনা দেন। তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য আগে থেকে বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী এবং দলের দুই বর্ধমানের নেতা লক্ষ্মণ ঘোড়ুই, তাপস রায়, সন্দীপ নন্দী-সহ সাত জন। পৌঁছে গিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয়বাবুও।
বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে বিশ্বপ্রিয়বাবু জানান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মিনিট দেড়েক কথা হয়েছে তাঁদের। তিনি দাবি করেন, ‘‘রাজ্য সরকারের মদতে গুন্ডামি চলছে এ রাজ্যে। জাতীয় সম্পত্তি নষ্ট হচ্ছে, লুট হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী পথে নেমে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ করার নির্দেশ দেওয়ার পরেই এই পরিস্থিতি।’’ তিনি আরও অভিযোগ করেন, রেলের সম্পত্তি নষ্টের সময়ে রেলপুলিশের দেখা মেলেনি। অন্যত্র গোলমালের সময়ে পুলিশের দেখা মেলেনি। গোটা পরিস্থিতি তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন বলে তাঁর দাবি।
মন্ত্রী মলয়বাবু শুধু বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের তরফে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে এসেছি। নিরাপত্তার কারণে ফুলের তোড়া নিয়ে নিয়েছে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসপিজি। ওরা একটি ফুল দিয়েছিল। সেটি দিয়েই প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়েছি।’’ এ ছাড়া আর কিছু বলতে রাজি হননি মলয়বাবু।
এ দিন প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠি, আইজি (আইনশৃঙ্খলা) আর শিবকুমার, আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার দেবেন্দ্রপ্রকাশ সিংহ, মহকুমাশাসক (দুর্গাপুর) অনির্বাণ কোলে। দুমকা থেকে ফেরার পথে বিকেল ৩টে ৫০ মিনিট নাগাদ অণ্ডালে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। বিশেষ বিমান তাঁকে নিয়ে বিমানবন্দর থেকে উড়ে যায় বিকেল ৪টে ১০ মিনিট নাগাদ।