প্রতীকী ছবি।
আন্তঃরাজ্য গাঁজা পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। জানা গিয়েছে, এনসিবি'র কলকাতা জ়োনাল ইউনিটের একটি দল প্রথমে মালদহের গাজল থেকে এক ট্রাকচালক ও সহকারী চালককে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার রাতে। ট্রাক চালকের কেবিনের পিছন দিক থেকে উদ্ধার হয় ৩৯১ কেজি গাঁজা। ধৃতদের জেরা করে নদিয়া জেলার নবদ্বীপ থেকে আরও তিন জনকে গ্রেফতার করা হয় রাতেই। এনসিবি সূত্রে খবর, ধৃতদের মধ্যে চারজনের বাড়ি মনিপুরে ও বাকি একজনের মুর্শিদাবাদে। ধৃত পাঁচ জনকে শুক্রবার মালদহ জেলার বিশেষ আদালতে তোলা হয়। আদালত সূত্রে খবর, ধৃতদের ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজত হয়েছে।
গোপনে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে গাজলের টোল প্লাজার কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে অভিযান চালায় এনসিবির কলকাতা জ়োনাল ইউনিটের একটি দল। এনসিবি সূত্রে খবর, টোল প্লাজার কাছে একটি ট্রাককে আটক করে তারা। ট্রাকটি খালি ছিল। এর পরে চালকের কেবিনের পিছনে প্যাকেটে মোড়ানো ৩৯১ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়। ট্রাকের চালক ও সহকারী ট্রাক চালককে গ্রেফতার করে তারা। এনসিবি জানিয়েছে, ধৃতদের নাম মহম্মদ চাঁদ ও মিটিয়াজ। চাঁদের বাড়ি মনিপুরের পূর্ব ইম্ফলে ও মিটিয়াজের পশ্চিম ইম্ফলে। ধৃতদের জেরা করে জানা যায়, এই গাঁজা মনিপুর থেকে ট্রাকে অসম, শিলিগুড়ি, ইসলামপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ হয়ে নবদ্বীপে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এই কারবারে জড়িত আরও তিন জনের নাম জানা যায়। এনসিবির অন্য একটি দল নবদ্বীপ থেকে আব্দুল মালিক, হেমিনাথ চেইনস সিংহ ও দীপঙ্কর দাস নামে ওই তিন জনকে ধরে। এদের মধ্যে আব্দুলের বাড়ি মনিপুরের পূর্ব ইম্ফলে ও হেমিনাথের বাড়ি মনিপুরের বিষ্ণুপুরে। দীপঙ্করের বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার রাধানগর গোপজান গ্রামে। ধৃত ৫ জনকেই শুক্রবার মালদহের বিশেষ আদালতে তোলা হয়।
এনসিবি'র আইনজীবী সুদীপ্ত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘গোপনে খবর পেয়ে এনসিবির কলকাতা জ়োনাল ইউনিট আন্তঃরাজ্য গাঁজা পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজত দেন বিচারক।