শুভেন্দু অধিকারী এবং কুণাল ঘোষ। ফাইল চিত্র।
শুভেন্দু অধিকারী কি রাজনৈতিক জীবনের গোড়ায় এসএফআই করতেন? বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরে এসে এমনই দাবি করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। একই সঙ্গে কুণালের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে শুভেন্দু নন্দীগ্রামে অস্ত্র ও কালো টাকা নিয়ে ঢুকছেন। সেই সূত্রে তিনি দাবি করেন, শুভেন্দুর গাড়িতে নাকা চেকিং করা হোক।
জবাবে রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘মিথ্যাচার, কুৎসা আর প্রতারণাকে হাতিয়ার করে দীর্ঘমেয়াদি রাজনীতিতে সাফল্য পাওয়া যায় না। এই সব বলে ওঁরা বিজেপি কিংবা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে অপমান করছেন না, অপমান করছেন সেই মানুষকে, যাঁরা ভোটে জিতিয়ে তাঁকে বিরোধী দলনেতা করেছেন।’’ তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পাল বলেন, ‘‘বিধানসভা ভোটে হেরে যাওয়ার পর বাজার গরম করার জন্য মিথ্যে অপপ্রচার চলছে। নাকা চেকিংয়ের বিষয়টি প্রশাসনের ব্যাপার।’’ শুভেন্দুকে বরাবর দক্ষিণপন্থী রাজনৈতিক দলের সঙ্গেই যুক্ত থাকতে দেখেছেন সবাই। কিন্তু কুণালের দাবি, শুভেন্দু এক সময়ে এসএফআই করতেন। যাঁর হাত ধরে শুভেন্দু ছাত্র পরিষদে যোগ দেন বলে কুণালের দাবি, কাঁথির সেই তৃণমূল কাউন্সিলর দেবাশিস পাহাড়ি বলছেন, ‘‘শুধু এসএফআই করা নয়, শুভেন্দু ওই তাদের হয়ে ভোটেও লড়েছেন।’’
২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, ২০০৭-এ শুভেন্দুদের সাহায্যেই পুলিশ ও সিপিএমের ক্যাডাররা নন্দীগ্রামে ঢুকেছিলেন। সেই সময়ে অধিকারী পরিবারের তরফে এর তীব্র প্রতিবাদ করা হয়। এ দিন বামুনিয়ায় কুণালও বলেন, ‘‘শুভেন্দু যাঁর হাত ধরে এসএফআই থেকে ছাত্র পরিষদে যুক্ত হয়েছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা করছেন।’’
পরে শুভেন্দুর বাবা তথা সাংসদ শিশির অধিকারী সাফ বলছেন, ‘‘শুভেন্দু সারা জীবন সিপিএমের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ভাবে লড়াই করেছে। ’’ সিপিএমের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেন, ‘‘শুভেন্দু অধিকারী কলেজে পড়াকালীন ছাত্র পরিষদ করতেন। কখনও বাম রাজনীতিতে ছিলেন না।’’