তাঁর খাসতালুক বহরমপুরেই সন্ত্রাসের আশঙ্কা করছেন অধীর চৌধুরী।
এ রাজ্যে ভোটের একেবারের শেষ পর্বে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভোট। সেই ভোটের ন’দিন আগে, শনিবার এই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী অধীরবাবু আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “বহরমপুরে সন্ত্রাসের চেষ্টা হবে। কেননা, বহরমপুর আসনটি তৃণমূলনেত্রী পাখির চোখ করেছেন। সেই পাখির চোখ বিদ্ধ করতে তিনি প্রথমে নায়ক-নায়িকা, গায়ক-গায়িকাদের নিয়ে এলেন। এর পরে মস্তান বাহিনী, তার লুঠেরা বাহিনী ব্যবহারের চেষ্টা হবে।”
অধীরবাবুর সন্ত্রাসের আশঙ্কার ‘অন্য তাৎপর্য আছে’ বলে মনে করছে তৃণমূল। বহরমপুরের তৃণমূল প্রার্থী ইন্দ্রনীল সেনের কটাক্ষে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে। তিনি বলেন “অধীর চৌধুরী ঠিকই বলেছেন। তবে একটা জায়গায় ভুল করেছেন। কংগ্রেস শব্দটার আগে তৃণমূল ব্যবহার করেছেন। আসলে কংগ্রেসই সন্ত্রাস করবে। তাই আগে থেকে গাওনা গেয়ে রাখলেন উনি।” অধীরের সন্ত্রাসের আশঙ্কা নিয়ে তির্যক মন্তব্য করতে ছাড়েননি মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি হুমায়ুন কবীর। তাঁর বক্তব্য, ১৫ বছর “বহরমপুরের মাটি তো অধীরবাবুর শক্ত ঘাঁটি। ভোটের মুখে এখন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জুজু দেখছেন কেন? ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকেও এলাকার উন্নয়ন করেননি। সেখান থেকে ভোটারদের দৃষ্টি ঘোরাতেই উনি তৃণমূলের সন্ত্রাসের গপ্পো ফাঁদছেন।”
সন্ত্রাস মোকাবিলা প্রসঙ্গে কর্মীদের কী নির্দেশ দিয়েছেন তা জানিয়ে অধীর বলেন, “কর্মীদের বলেছিকমিশনের উপরে নির্ভর না করে মানুষের ভোটদান নিশ্চিত করতে সব চেষ্টা করবেন। প্রতিরোধের চেষ্টা করবেন। যে কোনও বিপদের ঝুঁকি নিয়ে বুথে পৌঁছনোর মানসিকতা নিয়ে কর্মীরা ভোটে অংশগ্রহণ করবেন।” তিনি বলেন, “মুর্শিদাবাদে ৩৪ বছর সিপিএমের সন্ত্রাস দেখেছি। আগামী দিন সন্ত্রাস হলে রুখবো। রুখবোই।”