বোরো চাষের আগে লাগাতার লোডশেডিং চিন্তায় ফেলেছে কান্দির বড়ঞা এলাকার চাষিদের।
চাষিদের অভিযোগ, প্রায় মাসখানেক ধরে ওই এলাকায় লাগাতার বিদ্যুত্ বিভ্রাট চলছে। বোরো চাষ শুরু হওয়ার মুখে এমন ঘটনা চাষিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। চাষিরা জানালেন, ওই এলাকায় বোরো চাষ বিদ্যুত্ নির্ভর। বিদ্যুত্চালিত পাম্প চালিয়ে সেচের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু এখন রোজ দিন সকাল থেকে গড়ে আট নয় ঘণ্টা ধরে বিদ্যুত্ থাকছে না। কিন্তু কী কারণে এমন ঘটনা ঘটছে তা জানেন না কেউই।
বোরো চাষ শুরু হতে আর মাত্র দিন পনেরো বাকি। কান্দির ওই ব্লক আলু চাষেও জেলার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। ব্লকে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়। বোরো চাষ হয় প্রায় ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে। মাত্র দশদিনের মধ্যে জমিতে ধানের চারা রোয়ার কাজ শুরু হবে। কিন্তু বিদ্যুত্ না থাকলে চাষ কীভাবে করবেন সেই চিন্তা কুরে খাচ্ছে চাষিদের। স্থানীয় ধানচাষি নিমাই চন্দ্র ঘোষ বলেন, আমি প্রত্যেক বছর ১৬ বিঘা জমিতে বোরো চাষ করি। এবারও চাষ করব। কিন্তু এভাবে বিদ্যুত্ না থাকলে কোন ভরসায় চাষের কাজ শুরু করব?” তিনি জানান, বিষয়টি বিদ্যুত্ বণ্টন দফতরের কর্তাদের গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। একই ভাবে চিন্তায় রয়েছেন সেলিম শেখও। তিনি বলেন, “ এভাবে যদি লাগাতার লোডশেডিং চলে তাহলে এলাকায় অনেক চাষিই বোরো চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন।”
যদিও বিদ্যুত্ বণ্টন দফতরের কর্তাদের দাবি, ওই চাষের সময় বিদ্যুতের পরিষেবার কোনও ঘাটতি থাকবে না। কান্দি মহকুমা বিদ্যুত্ বণ্টনের আধিকারিক মহম্মদ নাসিরউদ্দিন বলেন, “ওই ব্লকে বোরো চাষের মরশুমে যাতে বিদ্যুত্ পরিষেবা ভালভাবে দেওয়া যায় সেই জন্য কুলি পাওয়ার স্টেশনে সংস্কারের কাজ চলছে। তাছাড়া কিছু যান্ত্রিক কাজকর্মও চলছে।” তিনি জানান, ওই ব্লকের করালিতলাতে একটি সাবস্টেশন তৈরি হচ্ছে। তার জন্য ৩৩ হাজারের তার টাঙানোর কাজ চলায় সকাল থেকে বিদ্যুত্ বন্ধ রাখতে হচ্ছে। তবে এতে চিন্তার কিছু নেই বলে আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, “সপ্তাহ দু’য়েকের মধ্যে পরিষেবা ঠিক হয়ে যাবে। তখন আর এমনটা হবে না।”