হয় মোড়ের মাথা দখল করে তেলেভাজা, ফলের দোকান। সার দিয়ে দাঁড়িয়ে অসংখ্য ছোট গাড়ি। সরু রাস্তা আরও সরু হচ্ছে দিনদিন। মুর্শিদাবাদের কান্দি মহকুমার বড়ঞা ব্লকের বড়ঞা, পাঁচথূপী, আন্দি, সুন্দরপুর, কুলি ও ডাকবাংলার মোড়ে বাড়ছে যানজট। বাড়ছে দুর্ঘটনাও।
ডাকবাংলা চার মাথার মোড়ে যানজট সবচেয়ে বেশি। একদিকে পানুটিয়া, অন্য দিকে কান্দি, আর এক দিকে বড়ঞা, কুলি ও অন্য দিকে পাঁচথূপী যাওয়ার রাস্তাগুরুত্বপূর্ণ এই মোড়ে চারদিক দখল করে আছে চা, পান, বিড়ি, তেলেভাজা ও ফলের দোকান। রাস্তায় দাঁড়িয়ে ওই সব দোকানে কেনাকাটা চলে দিনরাত। তার উপরে ওই দোকানগুলির সামনে সার দিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা তিন ও চার চাকার যান। ডাকবাংলা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক আব্দুল আজিজ বলেন, “আমরা ভ্যান রিকশা ও লছিমন ভ্যান দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করেছিলাম। একই ভাবে ট্রেকার ও অন্য যানবাহনগুলিও দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করেছিলাম। কিছু দিন ঠিক মতো চললেও পরে সব যেই কে সেই। এর ফলে আমাদেরও খুব অসুবিধা হচ্ছে।” বড়ঞা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সিপিএমের সুপর্ণা সরকার বলেন, “শীঘ্রই সমস্যার সমাধান করা হবে।”
একই অবস্থা কুলি, আন্দি, বড়ঞা, সুন্দরপুর ও পাঁচথূপী মোড়ে। জবরদখলে রাস্তা সরু হয়ে যাওয়ায় বাস ও ট্রাকের মতো বড় যানবাহনগুলি যাতায়াত করতে অসুবিধা হচ্ছে। এক বাস চালকের কথায়, “রাস্তা দখল করে দাঁড়িয়ে থাকছে ভ্যান, ম্যাজিক গাড়ি। পাশ কাটিয়ে দাঁড়াতে গিয়ে কোনও ভ্যানে সামান্য ধাক্কা লাগলেও সকলে মিলে দল বেঁধে ক্ষতিপূরণ আদায় করে ছাড়ছে।” কান্দি বাস সিন্ডিকেটের সম্পাদক সন্দীপ চক্রবর্তী বলেন, “আমরা বহু বার প্রশাসনকে জানিয়েছি। কোনও কাজ হয় না।” মোড়ের মাথাগুলি দখল হয়ে যাওয়ার জন্য যে এলাকায় দুর্ঘটনা বাড়ছে, সে কথা স্বীকার করে বড়ঞার বিধায়ক কংগ্রেসের প্রতিমা রজক বলেন, “গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে রাস্তা দখলমুক্ত করার জন্য বহু বার বিডিওকে জানিয়েছি। রাস্তা দখল মুক্ত করতে না পারলে ওই সমস্য যত দিন যাবে ততই বাড়বে।”
বড়ঞার বিডিও বাদশা ঘোষাল বলেন, “আমাদের ব্লকে জায়গার খুব অভাব। জায়গার কারণে অনেক কিছুই করা যাচ্ছে না। পঞ্চায়েত, পুলিশ ও পূর্ত দফতরের সঙ্গে বৈঠক করে সমাধানের পথ খুঁজতে হবে।”