পুরনো অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিচ্ছে তৃণমূল। দলের কথা দলেরই অন্দরে রাখতে আজ বুধবার, কান্দিতে দলীয় প্রার্থী ইন্দ্রনীল সেনের কর্মিসভায় ব্রাত্য সংবাদমাধ্যম। শুধু পুরসভা এলাকার কর্মীরা ছাড়া বাইরের কেউ ঢুকতে পারবেন না ভিতরে। একবার ভিতরে ঢুকলে শেষ হওয়ার আগে বেরনো যাবে না। মোবাইল থাকবে বন্ধ। শুধু তাই নয়, নজরদারিতে থাকবেন দলের বাছাই করা একশো জন কর্মী কেউ সভা ভণ্ডুল করার চেষ্টা করলেই বাইরে বার করে দিতে যাতে অসুবিধা না হয়।
গত ৩ এপ্রিল কান্দি পুরসভার পেট্রোলপাম্প রোড সংলগ্ন এলাকায় একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে তৃণমূলের কর্মিসভা ছিল। প্রার্থী ইন্দ্রনীল সেন ও মন্ত্রী সুব্রত সাহা পৌঁছনোর পরে তৃণমূলের দু’গোষ্ঠীর মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। মাইকে কর্মীদের বারবার শান্ত করার চেষ্টা করেও কাজ না হওয়ায় সভাস্থল ছেড়ে চলে যান ইন্দ্রনীলবাবু ও সুব্রতবাবু। পরদিনই ওই ঘটনায় জড়িত চার জন তৃণমূল নেতাকে ভোটের কাজ থেকে অব্যাহতি দেয় দল। ইতিমধ্যে গোষ্ঠীকোন্দলেও অনেকটাই প্রলেপ দিতে পেরেছে তৃণমূল। তাই ফের ওই একই অনুষ্ঠান বাড়িতে কর্মিসভার আয়োজন করা হয়েছে আজ।
দলীয় সূত্রে খবর ওই দিন পুরসভা এলাকার মোট ১৭টি ওয়ার্ডের ৪৮টি বুথের কর্মীদের ডাকা হয়েছে বৈঠকে। প্রতিটি বুথ থেকে বুথ কমিটির সভাপতি-সহ দশ জন নেতৃত্ব হাজির থাকবেন। সব মিলিয়ে ৪৮০ জন কর্মী ও জনা কুড়ি জেলা নেতৃত্ব। অন্য কোনও এলাকার কর্মীরা চাইলেও ওই বৈঠকে যেতে পারবেন না।
যাঁরা যাবেন, তাঁদের মোবাইল বন্ধ রাখতে হবে। কোনও ক্যামেরা দিয়ে প্রার্থীর ছবি তোলা যাবে না। এমনকী সেল ফোনের ক্যামেরাও ব্যবহার করা যাবে না। ভিতরে কর্মীরা প্রবেশ করার পরে সভা শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাইরে বেরোতে পারবেন না। সভাকক্ষের বাইরের দরজা বন্ধ থাকবে। দরজার বাইরে থাকবেন দলের প্রায় একশোজন বাছাই করা কর্মীসভাস্থলের নিরাপত্তার দায়িত্ব তাঁদেরই কাঁধে। জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল মণ্ডল বলেন, “কর্মিসভায় আগের দিনের মতো কোনও অঘটন যাতে না ঘটে তার জন্য কিছু পদক্ষেপ করা হয়েছে। আগের দিনের সভায় একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছিল। সেটা কাটিয়ে কর্মীরা ফের ভোটের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।” তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার যশোহরি-আনোখা ১ ও ২ পঞ্চায়েত এলাকায় রোড-শো করার পরে দুপুরে হাটপাড়া এলাকায় সভা করবেন ইন্দ্রনীল। কান্দিতে কর্মিসভা হবে তারপর।