সভার মাঠে নামতে পারবে না হেলিকপ্টার। নিরাপত্তার কারণে তাই শেষ মুহূর্তে বদলে গেল কৃষ্ণনগরে নরেন্দ্র মোদীর সভার জায়গা। কারবালা ময়দানের বদলে বুধবার সভা হবে শহর থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে শক্তিনগরের শক্তি মন্দিরের মাঠে।
কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে ভোট ১২ মে। শেষবেলা দলীয় প্রার্থী সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় ওরফে জলুবাবুর হয়ে কৃষ্ণনগরে ভোট প্রচারে আসছেন বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী। কথা ছিল বুধবার বেলা তিনটের সময় কৃষ্ণনগরের কারবালা ময়দানে সভা করবেন মোদী। যে মাঠে ইতিমধ্যেই সভা করে গিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব এবং নদিয়া জেলা প্রশাসন প্রাথমিক প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছিল। সোমবার সন্ধ্যায় শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে কৃষ্ণনগরে আসে গুজরাত পুলিশের একটি দল। মূলত তাদের আপত্তিতেই সরাতে হয় মোদীর সভার জায়গা।
আপত্তিটা কোথায়?
বিজেপির নদিয়া জেলা সভাপতি কল্যাণ নন্দী জানান, আগে ঠিক ছিল কৃষ্ণনগরে রাজ্য সশস্ত্র বাহিনীর মাঠ, যেটি এসএএফ ক্যাম্পের মাঠ বলে পরিচিত, সেখানে মোদীর হেলিকপ্টার নামবে। হেলিপ্যাড থেকে কমবেশি আড়াই কিমি দূরে কারবালা মাঠের সভাস্থলে সড়ক পথে যাবেন মোদী। সভা শেষে আবার একই পথে ফিরে আসবেন তিনি। ওই আড়াই কিমি সড়কপথে যাওয়ার ব্যাপারে আপত্তি জানায় গুজরাত পুলিশ। মাঠেই হেলিপ্যাড করা যায় এমন জায়গায় সভার ব্যবস্থা করার কথা বলে তারা। সেই মতো তুলনায় বড় শক্তিনগরে শক্তিমন্দিরের মাঠে সভাস্থল স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিজেপি-র নদিয়া জেলা নেতারা অবশ্য এ ব্যাপারে কোনও আপত্তি করেননি।