বেহুলা খালে পাকা সেতু তৈরির দাবি

প্রায় চার শতক ধরে প্রশাসনের বড়-মেজো-সেজোসব স্তরের কর্তাদের কাছে বারংবার দরবার করে আশ্বাস ভিন্ন কিছুই মেলেনি। নদিয়ার নাকাশিপাড়ার গাছা বেলতলায় বেহুলা খালের গ্রামবাসীদের নিজেদের উদ্যোগে তৈরি দুর্বল বাঁশের সেতু আজও কংক্রিট হল না। ১৯৭২ সালে যাতায়াতের সুবিধার জন্য গ্রামের লোকজন বাঁশ-কাঠ সংগ্রহ ওই সেতু তৈরি করেন। সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে রয়েছে মুড়াগাছা স্টেশন, বাজার, স্কুল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নাকাশিপাড়া শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৪ ০১:১২
Share:

প্রায় চার শতক ধরে প্রশাসনের বড়-মেজো-সেজোসব স্তরের কর্তাদের কাছে বারংবার দরবার করে আশ্বাস ভিন্ন কিছুই মেলেনি। নদিয়ার নাকাশিপাড়ার গাছা বেলতলায় বেহুলা খালের গ্রামবাসীদের নিজেদের উদ্যোগে তৈরি দুর্বল বাঁশের সেতু আজও কংক্রিট হল না।

Advertisement

১৯৭২ সালে যাতায়াতের সুবিধার জন্য গ্রামের লোকজন বাঁশ-কাঠ সংগ্রহ ওই সেতু তৈরি করেন। সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে রয়েছে মুড়াগাছা স্টেশন, বাজার, স্কুল। তাই উল্টোদিকের অর্থাৎ উত্তরের অন্তত খান সাতেক গ্রামের লোকজনকে শিয়ালদহ বা লালগোলাগামী ট্রেন ধরতে গেলে ওই পলকা সেতু উজিয়েই যেতে হয় মুড়াগাছা স্টেশনে। তাছাড়া গাছা-বাগানপাড়া, শালিকগ্রাম, মুণ্ডুমালাপাড়া, পাটপুকুরের অনেক পড়ুয়া ওই সেত পেরিয়ে যায় মুড়াগাছা হাইস্কুলে।

কিন্তু সাকুল্যে সাত ফুট ওই সেতু কেবলমাত্র হেঁটেই লোকজন পারাপার করতে পারেন, বড় জোর কোনও সাইকেল যেতে পারে। কিন্তু স্টেশনে যাওয়ার জন্য কোনও বাইক আরোহী সেতু পার হতে পারেন না। সেক্ষেত্রে তাঁকে লোহাগাছা ঘুরে পৌঁছতে হয় স্টেশনে। ফলে অন্তত চার কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ পেরোতে হয়। তাছাড়া বাঁশের ওই সেতু মাঝেমধ্যেই ভেঙে পড়ে।

Advertisement

গাছা বেলতলার বাসিন্দা মনোরঞ্জন সন্ন্যাসী বলেন, ‘‘নিজেদের গড়া বাঁশের সেতু প্রায়ই ভেঙে পড়ে। অনেক চেষ্টা করেও সেতু পাকা করতে পারলাম না।’’ বেলতলা গ্রামে দশ দিন ধরে চলছে রাস মেলা। দিন-রাতব্যাপী চলা কীর্তন শুনতে ভিন্ জেলা থেকেও অনেক ভক্ত ভিড় করেছেন। কিন্তু দিন সাতেক আগে, অর্থাৎ মেলার অব্যবহিত আগে সেতুটি ভেঙে যায়। গ্রামের লোকজন চেয়েচিন্তে বাঁশ-কাঠ সংগ্রহ করে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তা অবশ্য সারিয়ে তোলেন।

গ্রামেরই বাসিন্দা গুরুপদ বিশ্বাস বলেন, “পঞ্চায়েত সেতুর দু’প্রান্তে মাটি ফেলার জন্য কেবল বছরখানেক আগে কয়েক হাজার টাকা বরাদ্দ করে। এছাড়া সরকারের কোনও সংস্থা আমাদের সমস্যার কথা ভাবল না।’’ বিধায়ক কল্লোখ খাঁ-র আশ্বাস, ‘‘ওই ব্রিজ তৈরির ব্যাপারে ইতিমধ্যে সার্ভে হয়ে গিয়েছে। সেচ দফতরের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করি দ্রুত কাজ শুরু হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement