পদ্মায় নিখোঁজ বাবা-ছেলে

পদ্মায় নৌকা উল্টে তলিয়ে গিয়েছেন বাবা ও ছেলে দু’জনেই। রবিবার দুপুরে ওই ঘটনার পর থেকে রাত পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি প্রীতম মণ্ডল ও জয়ন্ত মণ্ডলের। তাঁদের বাড়ি রানিতলার চর নতুন রাজাপুর মহিষমারি এলাকায়। এ দিন দুপুরে পদ্মার উত্তর পাড় রানিতলা থানার চর নতুন রাজাপুর থেকে রানিতলা থানার দক্ষিণ পাড় বনমালী ঘাটে যাওয়ার পথে ওই নৌকাডুবি হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৪ ০১:২০
Share:

পদ্মায় নৌকা উল্টে তলিয়ে গিয়েছেন বাবা ও ছেলে দু’জনেই। রবিবার দুপুরে ওই ঘটনার পর থেকে রাত পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি প্রীতম মণ্ডল ও জয়ন্ত মণ্ডলের। তাঁদের বাড়ি রানিতলার চর নতুন রাজাপুর মহিষমারি এলাকায়। এ দিন দুপুরে পদ্মার উত্তর পাড় রানিতলা থানার চর নতুন রাজাপুর থেকে রানিতলা থানার দক্ষিণ পাড় বনমালী ঘাটে যাওয়ার পথে ওই নৌকাডুবি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘটনার দীর্ঘক্ষণ পরেও পুলিশ ও প্রশাসনের কোনও দেখা মেলেনি। সন্ধ্যা নাগাদ পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজন এলাকায় যান। ততক্ষণে অবশ্য নৌকার বাকি যাত্রীরা সাঁতরে পাড়ে উঠে বাড়ি চলে গিয়েছেন। ভগবানগোলার বিডিও কৌশিক মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমি এলাকার বাইরে আছি। তবে ওই খবর জানার পরেই পুলিশ ও স্থানীয় পঞ্চায়েতকে জানিয়েছি। নিখোঁজ ওই দু’জনের খোঁজে পদ্মায় তল্লাশি চালানোর জন্য বিএসএফের জওয়ানদের সাহায্য নেওয়া হয়েছে।”

Advertisement

প্রীতমবাবু তাঁর ছেলেকে নিয়ে জিয়াগঞ্জে শ্বশুরবাাড়ি যাওয়ার জন্য এ দিন নৌকায় ওঠেন। স্থানীয় রুপলাল মণ্ডল বলেন, “ওই নৌকায় দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে আমারও যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নৌকায় ভিড় দেখে আমি আর উঠিনি। পরের নৌকার জন্য পাড়ে অপেক্ষা করছিলাম। সেই সময়েই ওই নৌকাডুবির কথা শুনতে পাই।” তিনি বলেন, “মাঠ থেকে কেটে ঘাসের বোঝা, প্রচুর জ্বালানি ও ৪০-৪৫ জন যাত্রী ছিল। ভিড়ের পাশাপাশি এ দিন সকাল থেকেই প্রচণ্ড জোরে বাতাস বইছিল। ওই বাতাসের টানেই সম্ভবত নৌকাটি উল্টে যায়।” এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসনের কোনও নজরদারি না থাকায় নৌকায় যাত্রী ওঠানোর ক্ষেত্রে কোনও নিয়ম মানা হয় না।

স্থানীয় বাসিন্দা বনমালী মণ্ডলের ৪-৫টি বড় ভুটভুটি নৌকা রয়েছে। ওই নৌকাগুলি সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পদ্মার উত্তর পাড় চর নতুন রাজাপুর থেকে দক্ষিণ পাড় বনমালী ঘাটে যাতায়াত করে। স্থানীয় জয়নাল আবেদিন বলেন, “প্রায় ৫০০ মিটার চওড়া পদ্মার উপর দিয়ে চর নতুন রাজাপুর থেকে বনমালী ঘাট যাতায়াতে স্থানীয় বাসিন্দাদের নৌকার উপরেই ভরসা করতে হয়। যদিও পদ্মায় এখন জলের গভীরতা কম। ভরা বর্ষার উথাল-পাতাল পদ্মায় ওই ঘটনা ঘটলে নিখোঁজের সংখ্যা আরও বাড়ত।” জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “ঘাটের কাছাকাছি ওই নৌকা ডুবে যাওয়ায় যাত্রীরা সহজেই সাঁতরে পাড়ে উঠেছেন। মাঝ পদ্মায় ওই নৌকাডুবি ঘটলে আরও বড় বিপত্তি ঘটত।”

Advertisement

নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে পদ্মায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় ওই চর কুঠিবাড়ি পঞ্চায়েত। ওই পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা পদ্মার উত্তরপাড় রানিতলা থানার চর নতুন রাজাপুরে বসত গড়ে। কিন্তু তাঁদের খেতি জমি রয়ে গিয়েছে পদ্মার দক্ষিণ পাড়ে চর কুঠিবাড়ি এলাকায়। প্রতি দিন মাঠে ফসলের কাজে নৌকায় পদ্মা পেরিয়ে উত্তর পাড় থেকে দক্ষিণ পাড়ে তাঁদের আসতে হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement