নাবালিকার বিয়ে রুখলেন শিক্ষকরা

নাবালিকা পাত্রী। পাত্রও নাবালক। তাদের পড়াশোনায় উৎসাহ না দিয়ে বিয়ে ঠিক করেছিলেন পরিবারের লোকেরা। অষ্টম শ্রেণির ছাত্র নাবালকের বিয়েতে আপত্তি ছিল কি না জানা নেই। তবে, ষষ্ঠ শ্রেণির নাবালিকা পাত্রী স্কুলে গিয়ে শিক্ষকদের কাছে বিয়েতে ঘোরতর আপত্তির কথা জানিয়ে সাহায্য চায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কান্দি শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৪ ০০:৪৫
Share:

নাবালিকা পাত্রী। পাত্রও নাবালক। তাদের পড়াশোনায় উৎসাহ না দিয়ে বিয়ে ঠিক করেছিলেন পরিবারের লোকেরা। অষ্টম শ্রেণির ছাত্র নাবালকের বিয়েতে আপত্তি ছিল কি না জানা নেই। তবে, ষষ্ঠ শ্রেণির নাবালিকা পাত্রী স্কুলে গিয়ে শিক্ষকদের কাছে বিয়েতে ঘোরতর আপত্তির কথা জানিয়ে সাহায্য চায়। শিক্ষকরা সদলবলে মেয়ের বাড়িতে গিয়ে বোঝান অল্প বয়সে বিয়ের সমস্যার কথা। পাত্রীর বাবা পড়াশোনার খরচের কথা বললে ছাত্রীকে আনা হয় স্কুলের হস্টেলে। এই ভাবেই বুধবার নাবালিকার বিয়ে রুখল মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম থানা এলাকার শাদল পঞ্চায়েত এলাকার সুরখালি গ্রামে।

Advertisement

সুরখালি গ্রামের ওই নাবালিকা কান্দি থানার নবপল্লি জেসিএস উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। তার অজান্তে বাড়ির লোকেরা গ্রামেরই কাসেম শেখের ছেলের সঙ্গে বিয়ের ব্যবস্থা করেছিল। বুধবার ছিল বিয়ের দিন। মঙ্গলবার রাতে তা জানতে পারে ওই ছাত্রী। বুধবার সকাল হতেই পরিবারের লোকজনের অজান্তে বই-খাতা নিয়ে স্কুলে হাজির হয় সে। বিয়ে রোখার জন্য শিক্ষকদের সাহায্য চায়। স্কুলের ৪৫ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী তখন বৈঠক করে সদলবলে ছাত্রীর বাড়ি যান এবং ছাত্রীর বাবাকে ঘণ্টাখানেক ধরে বোঝান। ছাত্রীর বাবা শিক্ষকদের বলেন, তিনি দিনমজুর। কোনও মতে সংসার চালান। মেয়ের পড়াশোনার খরচ জোগাবে কে? শিক্ষকরা আশ্বাস দেন, কিশোরী চাইলে স্কুলের ছাত্রী আবাসনে থাকতে পারে। সেখানে থেকে পড়াশোনা করলে খরচ সরকারই বহন করবে। এরপর ছাত্রীর বাবা নিজে মেয়েকে স্কুলের আবাসনে রেখে আসেন। খড়গ্রামের বিডিও রবিউল ইসলাম বলেন, “শিক্ষকরা যে ভাবে ওই নাবালিকার বিয়ে রুখে দিয়েছেন, সেটা সত্যিই প্রশংসার। ওই ছাত্রীর পড়াশোনা করতে যাতে অসুবিধা না হয় সেটা আমি দেখব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement