অবশেষে বহরমপুরের মহকুমাশাসক সুপ্রিয় দাসের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে দলীয় কার্যালয় দখল ও পাল্টা দখলের জেরে তৈরি হওয়া উত্তরপাড়া মোড়ের জট অনেকটাই কাটল। তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্যে দলীয় কার্যালয় দখল ও পাল্টা দখলের জেরে গত শনিবার থেকে বহরমরপুর শহর লাগোয়া উত্তরপাড়া এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। সেই জট কাটাতে বৃহস্পতিবার মহকুমাশাসকের ডাকে কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম, বিজেপি- সহ বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিরা বৈঠকে বসেন। সুপ্রিয়বাবু বলেন, “শুক্রবার ভোর থেকে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হবে। তবে বির্তকিত ওই ঘর আপাতত সিল করা থাকবে। উত্তরপাড়া মোড় ও রাধারঘাট মোড় এলাকায় আপাতত ১৫ দিন কোনও সভা সমাবেশ করা যাবে না। ওই দু’টি এলাকা বাদ দিয়ে সভা সমাবেশ করা যাবে। ১৫ দিন পর ফের সর্বদলীয় বৈঠকে পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে।” রাজনীতিকরা ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন বহরমপুর সদরের ডেপুটি পুলিশ সুপার সৌম্যজিৎ বড়ুয়া, আইসি অরুনাভ দাস, বিডিও বর্ণমালা রায়।
এ দিনের বৈঠকে ছিলেন তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ জেলা সহ-সভাপতি তপন ত্রিপাঠি। তিনি বলেন, “নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুসারে তৃণমূল কোনও সরকারি জমিতে দলীয় কার্যালয় করতে পারে না। উত্তরপাড়ার ওই ঘর সরকারি খাস জমিতে তৈরি হওয়ায় দখল বা জবরদখলের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সর্ম্পক নেই। স্থানীয় লোকজন ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। ঘটনাক্রমে ওই এলাকার লোকজনের অধিকাংশই তৃণমূলের সমর্থক। এ কারণে ওই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের নাম জড়িয়েছে। স্থানীয় লোকজন অবসর সময়ে বিনোদনের জন্য ওই ঘরটি ব্যবহার করলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই।” মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র অশোক দাসও এ দিনের সর্বদলীয় সভায় ছিলেন। তিনি বলেন, “তৃণমূল এখন বেকায়দায় পড়ে সর্বদলীয় সভায় ডিগবাজি খেয়েছে। উত্তরপাড়া মোড়ের ঘটনায় জেলাপরিষদের সভাধিপতি শিলাদিত্য হালদার- সহ কংগ্রেসের মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে তৃণমূলের দলীয় প্যাডে পুলিশের কাছে এফআইআর করেছেন তৃণমূলের বহরমপুর (পশ্চিম) ব্লক সভাপতি মহম্মদ সাজাহান শেখ স্বয়ং। তারপরও তৃণমূল জড়িত নয় বললে ঘোড়াতেও হাসবে।”