আস্থাভোটে নিরাপত্তা চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ সিপিএম

গ্রাম পঞ্চায়েতের আস্থা ভোটে পর্যাপ্ত পুলিশ ও বিরোধীদের নিরাপত্তা দেওয়ার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানাল সিপিএম। নদিয়ার গাংনাপুর থানার আঁইশমালি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল প্রধান পুতুল গোলদারের বিরুদ্ধে যৌথ ভাবে আনাস্থা এনেছিল সিপিএম এবং তৃণমূলেরই একাংশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানাঘাট শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৪ ০০:২৭
Share:

গ্রাম পঞ্চায়েতের আস্থা ভোটে পর্যাপ্ত পুলিশ ও বিরোধীদের নিরাপত্তা দেওয়ার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানাল সিপিএম।

Advertisement

নদিয়ার গাংনাপুর থানার আঁইশমালি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল প্রধান পুতুল গোলদারের বিরুদ্ধে যৌথ ভাবে আনাস্থা এনেছিল সিপিএম এবং তৃণমূলেরই একাংশ। ২৮ অক্টোবর তারা রানাঘাট-২ বিডিও শিল্পী সিংহের কাছে লিখিত আবেদন জানায়। তবে এখনও আস্থাভোটের দিন স্থির হয়নি। এরই মধ্যে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে নিরাপত্তার আবেদন জানাল সিপিএম।

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২০ আসন বিশিষ্ট আঁইশমালি পঞ্চায়েতে দশটি আসন পেয়েছিল তৃণমূল, নয়টি সিপিএম এবং একটি নির্দল। নির্দল প্রার্থীর সমর্থন নিয়ে বোর্ড দখল করে তৃণমূল। প্রধান হন দলের সদস্য পুতুল গোলদার। উপ-প্রধানের পদ গ্রহণ করেন নির্দল সদস্য দীপক শিকদার। কিন্তু শুরু থেকেই গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত ছিল তৃণমূল।

Advertisement

পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা সিপিএমের গৌতম প্রসাদ মিত্র বলেন, “দায়িত্ব নিয়েই স্বজনপোষণের মতো নানা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন প্রধান। এমনকী নিজের দলের সদস্যদের অন্ধকারে রেখে কাজ করছেন। বিরোধীরা তো দূরের কথা। বারবার সতর্ক করেও কোনও ফল হয়নি। এলাকার উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছিল। আমরা তার অপসারণ চাই। তৃণমূলের চার সদস্যও আমাদের সঙ্গে আছেন।”

হাইকোর্টে যাওয়ার বিষয়ে গৌতমবাবু বলেন, “আস্থা ভোটে প্রধান হেরে যাবেন বুঝে আমাদের সদস্যদের বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখাতে শুরু করেছে তৃণমূল। ওরা গণ্ডগোল বাধাতে পারে আশঙ্কা করে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছি। সোমবার এ ব্যাপারে আদালতে শুনানি হবে।”

বিরোধীদের কোনও অভিযোগ অবশ্য মানতে চাননি প্রধান পুতুল গোলদার। তিনি বলেন, “নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে আমাদের দলের কয়েক জন সদস্য সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এসব করছে। সিপিএমের আসল উদ্দেশ্য এলাকার উন্নয়ন স্তব্ধ করে দেওয়া।”

রানাঘাট-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি ও বিধায়ক সমীর পোদ্দার বলেন, “আদালতে যাওয়ার বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। তবে আমরা কাউকে ভয় দেখাছি না। পঞ্চায়েত প্রধান গত পাঁচ বছর দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার কোনও জায়গা নেই।” রানাঘাট-২ ব্লক বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক তাপস শিকদার বলেন, “এতদিন আমরা বলে এসেছি, পঞ্চায়েতে স্বজনপোষণ-দুর্নীতি হচ্ছে। এখন তৃণমূলের অন্দরেই সে কথা উঠেছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement