পৌলমী ঘটক।
বাড়ি ফেরার পথে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে এক জন ছাত্রীর। মৃতের নাম পৌলোমী পাঠক (২৩)। বাড়ি জিয়াগঞ্জের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদরঘাট এলাকায়। সোমবার সকালে পূর্ব রেলের শিয়ালদহ শাখায় লালগোলা-শিয়ালদহ রুটের জিয়াগঞ্জ স্টেশন ও নশিপুর হল্ট স্টেশনের মাঝখানে ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে ওই বিপত্তি ঘটে। খবর পেয়ে জিয়াগঞ্জ স্টেশন রেল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়।
রেল পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পৌলমী পড়াশোনায় বরাবরই ভাল ছিলেন। প্রায় ৯০ শতাংশ নম্বর নিয়ে তিনি বিসিএ পাশ করেন। পরে ২০১৫ সালে ডিএলইএড (ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন) পাশ করার পরে সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রশিক্ষণের জন্য তিনি প্রতিদিন ট্রেনে বহরমপুর-জিয়াগঞ্জ যাতায়াত করতেন।
এ দিন সকালেও তিনি প্রশিক্ষণ নেওয়ার বহরমপুরে আসেন। পরে লালগোলাগামী রানাঘাট-লালগোলা আপ মেমু ট্রেনে সকাল সাড়ে ১০টায় বহরমপুর থেকে তিনি চড়েন। নিত্যযাত্রীদের কথায়, ওই ট্রেনে এ দিন খুব ভিড় ছিল। ভেতরে ঢুকতে না পেরে দরজার কাছেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। কোনও ভাবে দরজা থেকে ছিটকে নীচে পড়ে যান। ট্রেন থেকে পড়ে যাওয়ার পরেই ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান বলে রেল সূত্রের খবর। জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জের পুরপ্রধান তৃণমূলের শঙ্কর মণ্ডলের পাড়ার মেয়ে পৌলমী। পুরপ্রধান বলেন, ‘‘বাপ্পাদিত্য ঘোষ নামে এক ছাত্রের কাছ থেকে দুঃসংবাদটি পাই। তারপরেই পৌলমীর বাবাকে নিয়ে মোটরবাইকে করে ঘটনাস্থলে যাই।’’ বাবা-মায়ের এক মাত্র সন্তান ছিলেন পৌলমী।
পেশায় ব্যবসায়ী বাবা গৌতম পাঠক বলেন, ‘‘রবিবার রাতে মেয়ের শরীর ভাল ছিল না। ফলে দরজার পাশে দাঁড়িয়ে থাকার সময়ে কোনও ভাবে মাথা ঘুরে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গেল কি না বুঝতে পারছি না।’’ ঘটনার কথা জানিয়ে বহরমপুর রেল পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।