— প্রতীকী ছবি।
কাজের অছিলায় অফিসে ডেকে মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদে উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের বিরুদ্ধে। চেম্বারের আলো এবং দরজা বন্ধ করে মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীকে যৌন হেনস্থা করা হয়েছে বলে লিখিত অভিযোগও দায়ের হয়েছে। অভিযোগ পাওয়া মাত্র তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুর্শিদাবাদ জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক সন্দীপ সান্যাল। অভিযোগকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং মিথ্যা বলে দাবি অভিযুক্তের। দোষ প্রমাণ হলে কড়া ব্যবস্থার আশ্বাস জেলা স্বাস্থ্য দফতরের।
মুর্শিদাবাদ জেলার উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি এবং যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনলেন এক এএনএম স্বাস্থ্যকর্মী। অভিযোগকারিণীর দাবি, অফিস ছুটির পর ওই স্বাস্থ্যকর্তা তাঁকে নিজের ঘরে ডেকে পাঠান। মহিলা তাঁর স্বামীকে নিয়ে স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে যান। স্বামীকে বাইরে দাঁড় করিয়ে তিনি স্বাস্থ্যকর্তার চেম্বারে ঢুকেছিলেন। সেই সময় উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের ঘরে এক মহিলাকর্মীও ছিলেন। নিগৃহীতার অভিযোগ, তিনি ঘরে ঢুকতেই উপস্থিত মহিলাকর্মীকে ঘর থেকে বার করে দেন স্বাস্থ্য আধিকারিক। অভিযোগ, এর পরেই ঘরের দরজা বন্ধ করে, আলো নিভিয়ে দিয়ে ওই মহিলা কর্মীকে জোর করে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করেন তিনি। নিজেকে কোনও ক্রমে আধিকারিকের হাত থেকে বাঁচিয়ে ওই মহিলাকর্মী ঘর থেকে ছুটে বেরিয়ে যান।
এই ঘটনার সময় মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিজের দফতরে উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার আকস্মিকতায় আতঙ্কিত মহিলা জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের চেম্বারে ঢুকে তাঁর হেনস্থার কথা জানান। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দেন সন্দীপ। অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমার কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ এসেছে। বিশাখা কমিটি ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। দোষী প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’ অভিযুক্ত স্বাস্থ্য আধিকারিক অবশ্য ঘটনাটিকে ‘সাজানো’ এবং ‘মিথ্যে’ বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘অভিযোগ পুরোপুরি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং মিথ্যা। বিষয়টি বিচারাধীন হওয়ায় এর বেশি কিছু মন্তব্য করব না।’’